×

বিনোদন

টলিউডের পরিচালক তরুণ মজুমদারের প্রয়াণ, বর্ণময় অধ্যায়ের সমাপ্তি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২২, ০২:৫০ পিএম

টলিউডের পরিচালক তরুণ মজুমদারের প্রয়াণ, বর্ণময় অধ্যায়ের সমাপ্তি
টলিউডের পরিচালক তরুণ মজুমদারের প্রয়াণ, বর্ণময় অধ্যায়ের সমাপ্তি

তরুণ মজুমদার

ভেন্টিলেশন থেকে ফিরতে পারলেন না। এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তরুণ মজুমদার। বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। কিডনি ও হৃদযন্ত্রের সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন প্রবীণ এই চলচ্চিত্র পরিচালক। গত ১৪ জুন তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কয়েক দিনের মধ্যেই তাকে উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। পরে সেখানে অবস্থার কিছুটা উন্নতিও হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে আবারও তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। তাকে আবার ভেন্টিলেশনে দিতে হয়। সেখান থেকে আর তাকে ফেরাতে পারেননি চিকিৎসকরা। আজ সোমবার (৪ জুলাই) সকাল ১১টা ১৭ মিনিটে মৃত্যু হয় টলিউডের প্রবীণ এই পরিচালকের।

১৯৬২ সালে ‘কাঁচের স্বর্গ’ ছবির জন্য প্রথম জাতীয় পুরস্কার পান পরিচালক। মোট চারটি জাতীয় পুরস্কার জয়ী চলচ্চিত্র পরিচালককে কেন্দ্র পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে ১৯৯০ সালে। এ ছাড়া, বিএফজেএ পুরস্কার ও আনন্দলোক পুরস্কারেও সম্মানিত করা হয়েছিল পরিচালককে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের, আনন্দবাজার পত্রিকার।

১৯৩১ সালের ৮ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের অবিভক্ত বাংলার বগুড়ায় জন্ম পরিচালক তরুণ মজুমদারের। বাবা বীরেন্দ্রনাথ মজুমদার ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। কলকাতাতেই তরুণের পড়াশোনা। সেন্ট পলস ক্যাথেড্রাল মিশন কলেজ ও স্কটিশ চার্চ কলেজের ছাত্র তরুণ পরে রসায়ন নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তরুণের ফিল্ম জগতে পদার্পণ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করার পরই। তবে ১৯৫৯ সালে প্রথম ফিল্ম পরিচালনায় আসেন তিনি। উত্তম কুমার সুচিত্রা অভিনীত ‘চাওয়া পাওয়া’ ছবিটি দিয়ে। তখন তার বয়স ২৮।

তবে এই ছবিটির পরিচালনায় আসলে ছিল ‘যাত্রিক’ নামে একটি গোষ্ঠী। যার সদস্য ছিলেন শচীন মুখোপাধ্যায়, দিলীপ মুখোপাধ্যায় ও তরুণ মজুমদার। ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত এই ‘যাত্রিক’-এর সঙ্গেই ছবি পরিচালনা করেছেন তরুণ। তারপর আলাদাভাবে শুরু করেন ছবি পরিচালনা। ১৯৬২ সালে এই যাত্রিকের পরিচালনাতেই ‘কাঁচের স্বর্গ’ ছবিটি তৈরি হয়। যা পরে জাতীয় পুরস্কার এনে দেয় পরিচালককে।

তরুণের পরিচালিত যে সমস্ত ছবি সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো- পলাতক (১৯৬৩), নিমন্ত্রণ (১৯৭১), সংসার সীমান্তে (১৯৭৫) ও গণদেবতা (১৯৭৮)।

তার পরিচালিত জনপ্রিয় ছবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- বালিকা বধূ, কুহেলি, শ্রীমান পৃথ্বীরাজ, ফুলেশ্বরী, দাদার কীর্তি, ভালবাসা ভালবাসা, আপন আমার আপনের মতো বেশ কয়েকটি সিনেমা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App