×

জাতীয়

ভোগান্তির অপর নাম রেলের টিকেট

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২২, ১২:৪৪ পিএম

ভোগান্তির অপর নাম রেলের টিকেট

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কিনতে মানুষের অপেক্ষা।ফাইল ছবি

প্রতি বছরের ন্যায় এবারের ভোগান্তির অপর নাম রেলের ঈদ টিকেট। ঈদ অগ্রিম টিকেটের আজ তৃতীয় দিন। আজ রবিবার (৩ জুলাই) দেয়া হচ্ছে ৭ জুলাইয়ের টিকেট। এদিন বৃহস্পতিবার হওয়ায় ৭ জুলাই শেষ অফিস। সে কারণে কমলাপুরসহ রাজধানীর সব কটি টিকেট বিক্রি করা স্টেশনে যাত্রীদের বাড়তি চাপ।

সকালে কমলাপুর প্রধান রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, প্রায় হাজারের বেশি মানুষ টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে। কয়েক মিনিট পরপর একেকজন টিকিট হাতে কাউন্টারের সামনে থেকে বেরিয়ে আসছেন। তাদের অভিযোগ, গত দুই দিনেও ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কিনতে পারেননি তারা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর কাউন্টার থেকে টিকিট নিতে লাগছে বেশ খানিকটা সময়।

গতকাল শনিবার সকালে এসেও টিকিট পাননি, বেসরকারি কর্মী বশির মিয়া ও তার বন্ধু কাওছার। তারা গতকাল সারা দিন রাত স্টেশনে কাটিয়ে প্রায় ৩২ ঘণ্টা এক অবর্ণীয় দূরবস্থার মধ্যে স্টেশন চত্তরে অবস্থাননকরতে বাধ্য হন। আজ সকাল টিকেট হাতে পেয়ে তাদের সব কষ্ট লাঘব হয়েছে এমন মন্তব্য করেছেন তারা।

শুধু বশির কাওছার নয়, ঈদের টিকেট নামক সোনার হরিণের জন্য ২৪-২৮ ঘন্টাও অপেক্ষা করছেন বহু যাত্রী। সুমি নামক এক নারী যাত্রী বলেন, বান্ধবীকে নিয়ে তিনি গতকাল রাতে কমরাপুরে অবস্থান করে আজ বেলা ১১টা নাগাদ চিত্রা এক্সপ্রেসের টিকেট পেয়ে চেন। তারা রেলের টিকেট বিক্রি ব্যবস্থপনা আধুনিক ও আরামদায়ক করার আহ্বান জানান।

এদিকে অনলাইনে টিকেট সকাল ৮ টায় ওপেন করার পরেই কেন শেষ হয়ে যাচ্ছে এমন অভিযোগ করেছেন শতশত যাত্রী।

এদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বিক্রির সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি' জানিয়েছে সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ঢাকার ৬টি স্টেশনের কাউন্টারগুলো থেকে টিকিট বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৭১১টি। অন্যদিকে অনলাইনে টিকিট বিক্রি হয়েছে ১০ হাজার ৫৭৯টি। এই টিকিট বিক্রির সংখ্যা থেকেও অনেকটা বোঝা যাচ্ছে, কাউন্টারে সত্যিই কিছুটা ধীরগতি রয়েছে।

সহজের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারহাত আহমেদ বলেন, সকাল থেকে এক সঙ্গে সবাই হিট করলে তো টিকিট পেতে একটু ধীরগতি হবেই।

তবে টিকেটের তুলনায় চাহিদা কয়েকগুণ হওয়ায় সবাই টিকেট পাবেনন না বলে মন্তব্য করেচেন স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার।

এছাড়া টিকিট প্রত্যাশীদের লাইনে যারা সামনের দিকে আছেন তাদের অধিকাংশই গতকাল থেকে অবস্থান করছেন। আর যারা আজকে ভোরে এসেছেন, তাদের অবস্থান পেছনের দিকে। পেছনের দিকে থাকা অধিকাংশই মনে করছেন, তারা টিকিট পাবেন না।

সৈয়দপুর স্টেশনের টিকিট প্রত্যাশী রবিউল বলেন, শনিবার সকালে থেকে অনলাইনে চেষ্টা করেও কোনো টিকিট পাইনি। পরে আজ ভোর ৫টার দিকে কমলাপুর রেল স্টেশনে এসেছি। এখানে এসেও অনলাইনে চেষ্টা করেছি, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। যদি অনলাইনের টিকিট ব্যবস্থা ভালো করা যেত, মানুষের এতো ভোগান্তি হতো না। অনলাইনে টিকিট না পাওয়ার কারণেই দীর্ঘ সময় লাইনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষজনকে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারওয়ার জানিয়েছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে নম্বর উঠিয়ে তারপর টিকিট ইস্যু করতে হয়। এজন্য সময় লাগে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App