দ্বিতীয় শতকে ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে ঢাবি: ঢাবি উপাচার্য
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২২, ১২:১৭ পিএম
শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। ছবি: ভোরের কাগজ
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে থিমসং পরিবেশিত হয়। ছবি: ভোরের কাগজ
ইতিহাসের দ্বিতীয় শতকে পদার্পণ করে জাতি ও ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি)।
আজ শুক্রবার (১ জুলাই) এমনই মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আখতারুজ্জামান।
সকাল সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন : ১০২ বছরে পা রাখলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রতিষ্ঠার পেছনে বিশেষ করে নবাব নওয়াব আলি চৌধুরী, স্যার সলিমুল্লাহ এবং আবুল কাসেম ফজলুল হকসহ যেসব ব্যক্তি ১৯১১ সাল থেকে শুরু করে ১৯২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, এবারের যে প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে তা মূলত একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি দ্বিতীয় শতকে পদার্পণ করে কোনদিকে দিকনির্দেশনা লাভ করবে। এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘গবেষণা ও উদ্ভাবন : ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া সহযোগিতা’। এর মধ্য দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে দ্বিতীয় শতকের উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তোলা ও বিশেষ করে পরবর্তী এক শতকে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্মাণের প্রাথমিক যে ধাপ রয়েছে সে ধাপ সূচনা করার যে অঙ্গীকার রয়েছে তা আমরা ব্যক্ত করি।
[caption id="attachment_357083" align="aligncenter" width="700"] শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে থিমসং পরিবেশিত হয়। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ভাষণে তিনি আরও বলেন, ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা মোতাবেক জাতির উন্নয়নের সহায়ক এমন ধরনের উদ্ভাবন ও গবেষণা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পরিচালিত হবে এবং এর মধ্য দিয়ে উপমহাদেশে খ্যাতিমান এই বিশ্ববিদ্যালয়টি যে অবদান রেখে আসছে সেই ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন থাকবে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অক্টোবরে গবেষণা মেলার বিষয়টি জানিয়ে আখতারুজ্জামান বলেন, আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হবে গবেষণা প্রকাশনা মেলা। জাতি ও ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা পূরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা তৈরি হচ্ছে বলেও এ সময় উপাচার্য উল্লেখ করেন।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর শোভাযাত্রা, জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহের পতাকা উত্তোলন, পায়রা উড়ানো, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১০২ পাউন্ড ওজেনর কেক কাটা এবং সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে থিম সং পরিবেশিত হয়।
উপাচার্যের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ থেকে টিএসসি পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এর পর বেলা ১১টায় টিএসসি অডিটোরিয়ামে পল্লী-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ ‘গবেষণা ও উদ্ভাবন : ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।