নড়াইলে মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসেকে হেনস্তা, সাভারের আশুলিয়ায় শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে হত্যা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও পদার্থ বিজ্ঞানী ডক্টর অরুণ কুমারকে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে হেনস্তা করায় নিন্দা জানিয়ে মানববন্ধন করেছে জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে শিক্ষক সমিতি আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে এই নিন্দা প্রস্তাব ও দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, শিক্ষকদের হেনস্তা, লাঞ্ছিত ও হত্যা আমাদের জাতির জন্য কলঙ্ক। মা-বাবার পরেই যে শিক্ষদের অবস্থান সেখানে তাদের এ অপমান সহ্য করার মতো নয়। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমি বলবো অতি দ্রুত দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করে একটা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে যেন পরবর্তীতে আর কেউ শিক্ষকদের এভাবে অপমান, হেনস্তা করতে সাহস না করে।

এ সময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন বলেন, শিক্ষকরা যেভাবে হেনস্থার শিকার হচ্ছেন তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী। যেসব ঘটনা ঘটছে তা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার। আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি, কিন্তু এসব ঘটনা যখন বিশ্বে প্রচারিত হবে তখন আমদের মানসম্মান কোথায় যাবে? তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের হেনস্তার প্রতিবাদে কাজ করে যেতে হবে। এছড়াও এ প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন থেকে শিক্ষক হত্যা, নির্যাতন ও নিপীরণের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।

মানববন্ধনে আশুলিয়ায় শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারের শারীরিক হেনস্থা ও হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়। একই সঙ্গে নড়াইলে ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান পদার্থবিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার বসাকের সম্পত্তি দখল করে বিগত ১৮ বছর ধরে হয়রানি করছেন তার প্রতিবেশী। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা এবং অরুণ কুমার বসাকের জায়গা দখলমুক্ত করে তাকে দ্রুত বুঝিয়ে দেয়ার জোর দাবি করা হয়।

এছাড়া, মানববন্ধনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো লুৎফর রহমান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।