×

জাতীয়

নিবন্ধনের আওতায় আসবে ফুটপাতের খাবারের দোকানও

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২২, ০৯:০৯ পিএম

নিবন্ধনের আওতায় আসবে ফুটপাতের খাবারের দোকানও

ফুটপাতের খাবারের দোকান। ছবি: ভোরের কাগজ

# উৎপাদন থেকে বিপণন ও ভোক্তা পর্যায়ে নজরদারি বাড়াতে আরও জনবল দরকার: বিএসএসএ’র চেয়ারম্যান

উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যায়ে সব ধরনের খাবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএসএসএ)। এর মধ্যে বর্তমান নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশোধন করে সব খাবারের দোকানের নিবন্ধন ও লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করে আইনটি সংশোধনের প্রস্তাবনা কেবিনেটে পাঠানো হয়েছে। আইন সংশোধনের পর নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ফুটপাতের দোকানগুলোকেও রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি খাদ্য রপ্তানির জন্য সার্টিফিকেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার উদ্যগ নেয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুরে বিএসএসএ’র প্রশিক্ষণ কক্ষে ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় সংস্থাটি এসব তথ্য অবহিত করা হয়।

বিএসএসএ’র চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের পদক্ষেপে এ সময় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিসেফ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ইফতেখার মাহমুদ। এতে বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের আরও বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোচনা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা ও নিরাপদ খাদ্য দুটি বিষয় অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। যেহেতু আমরা এখন খাদ্যে মোটামুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ, সে ক্ষেত্রে সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার কথা ভাবা হচ্ছে। এ জন্য বিএসএসএ’কে আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। পাশাপাশি মাঝেমধ্যে অভিযান চালানোতে গুরুত্ব না দিয়ে, নিয়মিত নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে।

এ সময় বিএসএসএ’র চেয়ারম্যান বলেন, স্বল্প জনবল নিয়ে দেশের ৬৪ জেলায় কাজ করে যাচ্ছি আমরা। উৎপাদন থেকে বিপণন ও ভোক্তা পর্যায়ে নজরদারি বাড়াতে আরও জনবল দরকার। গুণগত মান ঠিক না থাকায়, আমরা অনেক কিছু রপ্তানি করতে পারি না। এ জন্য সার্টিফিকেশন সিস্টেম জরুরি। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি সার্টিফিকেশন নিশ্চিত করতে। পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্য পরীক্ষা করতে আধুনিক ল্যাব প্রতিষ্ঠায় জোর দেয়া হচ্ছে। কারণ বর্তমানে দেশে যে ল্যাবগুলো রয়েছে, সেগুলো উন্নতমানের নয়। আশা করি সময়ের সঙ্গে মান নিশ্চিতের কার্যক্রম আরও গতি পাবে।

গ্রেডিং পেলো ৩৩টি খাদ্যস্থাপনা: ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৩টি খাদ্যস্থাপনাকে গ্রেডিং দেয়া হয়েছে। নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে বুধবার বিকেলে এ গ্রেডিং দেয়া হয়। এ সময় ৪০টি প্রতিষ্ঠানকে রি-গ্রেডিং (পুনরায় গ্রেডিং) স্টিকার দেয়া হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App