×

জাতীয়

নর্থ সাউথের চার ট্রাস্টির জামিন আবেদন ফের নামঞ্জুর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২২, ০৬:১০ পিএম

নর্থ সাউথের চার ট্রাস্টির জামিন আবেদন ফের নামঞ্জুর

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এমএ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান ও মোহাম্মদ শাহজাহান

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ট্রাস্টি ফের জামিন চেয়ে আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালতে চার ট্রাস্টি আসামি রেহানা রহমান, এম এ কাশেম, মোহাম্মদ শাহজাহান ও বেনজীর আহমেদের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে বিচারক আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ২৩ মে আসামিদের ডিভিশন আবেদন মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। তার আগের দিন ২২ মে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ আসামিদের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে তাদের শাহবাগ থানার হেফাজতে দেওয়া হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিম্ন আদালতে হাজির করতে বলেন।

গত ১২ মে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের উপপরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ঢাকায় এ মামলা করেন।

আসামিরা হলেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং ও ডেভেলপারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন/সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এছাড়া আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে তারা প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা প্রদান করেন।

পরবর্তীতে বিক্রেতার নিকট থেকে নিজেদের লোকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন এবং নিজেরা দায়েরকৃত ওই এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।এছাড়া অবৈধ ও অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য ওই অর্থ হস্তান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে অর্থ পাচারের অপরাধও করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App