পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) উদ্যোগে বন্ধ হওয়ার পাঁচ বছর পর আবার বাজারে ফিরে আসছে স্পন্দন রাইস ব্রান অয়েল। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য খাতের কোম্পানি এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ধানের কুঁড়া থেকে এই তেল উৎপাদন করছে।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শেরপুরে অবস্থিত ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন শুরু করেছে কোম্পানিটি। সম্প্রতি জাপানি বিনিয়োগে পরিচালিত মিনোরি বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনায় আনুষ্ঠানিকভাবে স্পন্দন রাইস ব্রান অয়েল বাজারজাত হতে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে স্পন্দন রাইস ব্রান অয়েলের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মিনোরি বাংলাদেশের পরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, আমাদের ইতোমধ্যে ঢাকায় ডিলার নিয়োগ সম্পূর্ণ হয়েছে। সারা দেশে ডিলার নিয়োগ চলছে, যাতে সবার কাছে স্পন্দন ব্র্যান্ড পৌঁছে।

তিনি বলেন, আগামীতে পেছনের সব এজিএম সহ আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এজিএমগুলোতে বিনিয়োগকারীদের জন্য কিছু না কিছু দিতে পারবো।

আফজাল হোসেন আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আন্তরিকতায় এ বছর আমরা উৎপাদন শুরু করেছি। এখন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এবং তিতাস গ্যাস আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের সমস্যাগুলো সমাধান করে দিলে দেশে চলমান ভোজ্যতেলের সংকট সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারবে এমারেল্ড অয়েল।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, ল্যাবএইড হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল খাদ্য তত্ত্ববিদ ডা. নুসরাত জাহান দীপা, ল্যাবেএইড হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট কার্ডিয়াক বিভাগের ডা. মো. লোকমান হোসেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার ড. মিজানুর রহমান।

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম ও মিনোরি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মিয়া মামুন।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার তিন বছরের মাথায় ২০১৬ সালে কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে মিনোরি বাংলাদেশ নামে জাপানি একটি কোম্পানি এমারেল্ড অয়েলের ৭ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ার কিনে মালিকানায় আসে। জাপানি এই কোম্পানির হাত ধরেই প্রতিষ্ঠানটি আবার উৎপাদনে ফিরেছে।