×

জাতীয়

ঢাকার ৬ কোরবানির পশুর হাটে হবে ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২২, ০১:০৪ পিএম

ঢাকার ৬ কোরবানির পশুর হাটে হবে ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ

রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট হাট, ডিজিটাল পশুর হাট’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে বুধবার বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ছবি: ভোরের কাগজ

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর ছয়টি কোরবানির পশুর হাটে হবে ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ। এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। একটি পাইলট প্রকল্পের আওতায় ডিএনসিসির গাবতলী, বসিলা, আফতাবনগর, ভাটারা, কাওলা ও উত্তরা ১৭ নং সেক্টর হাটে এই ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপিত হবে।

আজ বুধবার (২৯ জুন) রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট হাট, ডিজিটাল পশুর হাট’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য উপস্থাপনকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বক্তারা।

বক্তাদের ভাষ্য, ১ থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ চালু থাকবে। এসব হাটে পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে কার্ড স্কিম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মাস্টারকার্ড, ভিসা ও আমেরিকান এক্সপ্রেস, ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপন ও পরিচালনার জন্য লিড ব্যাংক হিসেবে ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংক (ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড) এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস সংস্থা হিসেবে বিকাশ লিমিটেড ও ইসলামী ব্যাংক এম-ক্যাশ একযোগে কাজ করবে।

এছাড়া ওই প্রকল্পের আওতাধীন প্রতিটি হাটে একটি করে ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপিত হবে যেখানে ক্রেতাগণ ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পিওএস, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, কিউআর কোডের মাধ্যমে অথবা বুথে স্থাপিত এটিএম মেশিন থেকে নগদ অর্থ উত্তোলন করেও বিক্রেতাকে পশুর মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন।

পাশাপাশি ইজারাদারদের কাছে পশুর হাসিল নগদ অর্থ ছাড়াও ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পিওএস মেশিনে অথবা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন। প্রান্তিক খামারি ও সংশ্লিষ্ট ইজারাদারদের স্বার্থে ডিজিটাল লেনদেনে কোনো প্রকার খরচ (কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে এমডিআর, আইআরএফ চার্জ এবং এমএফএস ব্যবহারের ক্ষেত্রে ক্যাশ আউট চার্জ) প্রযোজ্য হবে না।

এ পাইলট প্রকল্প একদিকে ক্রেতার নগদ অর্থ বহনের ঝুঁকি, নকল, ছেঁড়াফাঁটা নোট সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অন্যদিকে এ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পশু বিক্রেতা প্রান্তিক খামারি এবং ব্যবসায়ীরা নগদ অর্থ বহন সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্ত হবেন এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে ভবিষ্যতে অর্থায়ন, ডিপোজিট সংক্রান্ত অন্যান্য সুবিধাদি পাবেন যা সার্বিকভাবে দেশজ অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। এর ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে দেশের অন্যান্য হাটেও এ ধরণের উদ্যোগ গ্রহণের পথ সুগম হবে বলে মনে করেন বক্তারা।

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম অংশগ্রহণ করেছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App