×

জাতীয়

পদ্মা সেতুর ষড়যন্ত্র তদন্তে কমিশন গঠনের নির্দেশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২২, ০১:২০ পিএম

পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগের নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে ৩০ দিনের মধ্যে কমিশন গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) এ বিষয়ে শুনানি পরবর্তী আদেশ দেয় হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।

কমিশন গঠনের জন্য ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর একজন সদস্যের নাম মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রস্তাব করা হয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (কারিগরি) মো. কামরুজ্জামানের নাম প্রস্তাব করা হয়।

এ বিষয়ে সোমবার জারি করা রুলের ওপর হাইকোর্টে শুনানি হয়েছে। এই রুলের ওপর আরও শুনানি ও কমিশন গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করে হাইকোর্টে । আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় সম্পদ। এটা আমাদের অহংকার। এ ধরনের জাতীয় স্বার্থ ও উন্নয়নের বিরুদ্ধে যারা থাকেন, তারা জাতির শত্রু, দেশের শত্রু, তাদের চিহ্নিত করা দরকার।

এর আগে শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে মাওয়া প্রান্তে নামফলক উন্মোচনের মাধ্যমে দেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, পদ্মা সেতু নিয়ে জারি করা রুলের বিষয়টি গত ২৬ জুন আদালতে উপস্থাপন করার পর তা শুনানির জন্য সোমবার (২৭ জুন) দিন নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট। আর নির্ধারিত ও ধার্য দিনে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার পরে আরও শুনানি ও আদেশের জন্য মঙ্গলবার (২৮ জুন) দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।

‘ইউনূসের বিচার দাবি: আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলো একাট্টা’ শিরোনামে একটি জাতীয় পত্রিকায় ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদের কথা উল্লেখ করে হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন ।

সে সময় পদ্মা সেতুর মিথ্যা দুর্নীতি গল্প সৃষ্টিকারী কে- তা জানতে চেয়ে এবং প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার জন্য ‘ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৬৫ (৩ ধারা)’ অনুসারে কমিশন গঠন এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে তাদের কেন বিচারের মুখোমুখি করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছিল রুলে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন ও যোগাযোগ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, যোগাযোগ সচিব ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

পাশাপাশি এ কমিটি বা কমিশন গঠনের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সে ব্যাপারে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়। পরে ওই বছরের ২০ মার্চ রুলের জবাব ও প্রতিবেদন দিতে আট সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। পরে দফায় দফায় সময়ের আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। সর্বশেষ গত রবিবার শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App