পাবনার ঈশ্বরদী রেল স্টেশনে ১৯৯৪ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে গুলি ও বোমা হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি হচ্ছেন-ঈশ্বরদীর বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টু।

মৃত্যুদণ্ডের আদেশের পর তিন বছর ফলঅতক ছিলেন। শনিবার কক্সবাজারের টেকনাফে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

পিন্টু ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌরসভা নির্বাচনে পিন্টু চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

জাকারিয়া পিন্টুর গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত করেছেন র‌্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

মামলার বর্ণনায় র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ২৮ বছর আগে ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী এবং ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে বোমা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২০১৯ সালে নয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।

গ্রেপ্তার জাকারিয়া পিন্টু ওই মামলার একজন পলাতক আসামি ছিলেন। শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তিনি সাজাপ্রাপ্ত আসামি।

আলোচিত এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিজ্ঞ আদালত মোট ৪৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি এ কে এম আক্তারুজ্জামান (৬৪), ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু (৫৫), ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মোখলেছুর রহমান বাবলু (৬১), পৌর যুব দলের সভাপতি মোস্তফা নুরে আলম শ্যামল (৪৫), স্থানীয় বিএনপি নেতা রেজাউল করিম শাহীন (৫০), শহিদুল ইসলাম অটল (৪৫), আজিজুর রহমান শাহিন (৪৬), মাহবুবুর রহমান পলাশ (৫৪), শামসুল আলম (৫৫)। এদের মধ্যে জাকারিয়া পিন্টু পলাতক ছিলেন। অন্যরা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।