×

জাতীয়

আমরা সঠিক দাম ও মানে বিদ্যুৎ পাচ্ছি না

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২২, ০৫:৪১ পিএম

বিদ্যুৎখাত বাণিজ্যিক খাতের মাধ্যমে চালাতে হলে আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি করা প্রয়োজন। সঠিক দামে, সঠিক মানে ও সঠিক মাপে বিদ্যুৎ পাওয়া নাগরিকের জ্বালানি অধিকার। আমরা কি সঠিক দামে বিদ্যুৎ পাচ্ছি?

রবিবার (২৬ জুন) গুলশানের একটি হোটেলে ‘জাতীয় বাজেটে এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার সেক্টর’ শীর্ষক আয়োজিত সেমিনারে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম প্রশ্ন করেন, একজন নাগরিকের জ্বালানি অধিকার হলো সঠিক দামে, সঠিক মানে ও সঠিক মাপে বিদ্যুৎ পাওয়া। কিন্তু আমরা কি সঠিক দামে বিদ্যুৎ পাচ্ছি? বিদ্যুতের যে দাম নির্ধারণ করা হয় সেটা কি সঠিক? নিঃসন্দেহে সঠিক নয়। সরকার বিদ্যুৎখাতকে বাণিজ্যিক খাতের মাধ্যমে চালাতে চাচ্ছে। এটা করতে হলে আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি করা প্রয়োজন- হোক সেটা দেশি কিংবা বিদেশি। কোম্পানির কাছে সরকার কেন জিম্মি হবে? ন্যায্য দামে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সরকার নির্ধারিত দামে বিদ্যুৎ কিনতে পারবে। সরকারের উদ্যোগ কেন হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে? সরকার যদি এখন উদ্যোগ না নেয় তাহলে বিদ্যুৎ খাত নিয়ে সরকারের স্বপ্ন, স্বপ্নই থেকে যাবে। এক সময় জনগণের মধ্যে চরম অসন্তোষ তৈরি হবে। প্রশাসন অচল হয়ে যাচ্ছে। কোনো অন্যায়ের প্রতিকার হচ্ছে না।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে। আমাদের অভ্যন্তরীণ জ্বালানি চাহিদাও বেড়েছে। সুতরাং জ্বালানির দাম বাড়লে বিদ্যুতের দাম বাড়বে- এটাই বাস্তবতা। কিন্তু এই সেক্টরে দীর্ঘদিন যাবত অন্যায় ব্যয় ও লুণ্ঠনমূলক ব্যয় চলে আসছে। যে ব্যয়কে বিশেষ আইনের দ্বারা সুরক্ষিত করা হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলার সময় এসেছে। সরকার বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে কম দামে দিচ্ছে। তাহলে সেই ঘাটতি কোথা থেকে আসবে। যেখানে ২০ থেকে ২২ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম তার প্রবন্ধে বলেন, পেট্রোলিয়াম, এলএনজি ও কয়লা আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় কারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত চাপের মুখে পড়েছে। ভর্তুকি উল্লেখযোগ্য বাড়ার পরেও ব্যয় সমন্বয় করা কঠিন। বাড়তি উদ্যোগ না নিয়ে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ভালো বিকল্প হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও তা উপেক্ষা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান করিম বলেন, সরবরাহ সিস্টেম ঘাটতি রয়েছে, সে কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুতে আমাদের সত্যিকারের ক্যাপাসিটি ১৬ হাজার মেগওয়াট। ১৬ হাজার মেগওয়াট কিছু না। আমাদের অন্তত ২০ শতাংশ বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App