পদ্মা সেতুর পেছনের ইতিহাস
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২২, ০৯:৫৭ পিএম
কাঙ্খিত পদ্মা সেতু নির্মাণের আড়ালে রয়েছে নানা অজানা গল্প। সরকারকে মুখোমুখি হতে হয়েছে দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্রের। সবকিছুর অবসান ঘটিয়ে পদ্মা এখন যান পারাপারের অপেক্ষায়। ২৬ জুন ভোর ৬টা থেকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এই সেতু। তুলে ধরা হচ্ছে পদ্মা সেতুর আড়ালের গল্প।
১৯৯৭: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রথম মেয়াদে ১৯৯৭ সালে জাপান সফরকালে পদ্মা ও রূপসা সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেন।
১৯৯৮-৯৯: সরকারি অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রাক সম্ভাব্যতা যাচাই।
২০০৭: সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে একনেক সভায় পদ্মা সেতু প্রকল্প অনুমোদন।
২৭ আগস্ট ২০০৭: জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) চূড়ান্ত প্রাক্কলন ব্যয় ১০ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা অনুমোদন।
২০০৮: ক্ষমতায় এসে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় আওয়ামী লীগ সরকার।
১৯ জুন ২০০৯: সেতুর নকশা প্রণয়নের প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয়।
২০১১: পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরুর প্রস্তাব। প্রথম দফায় সেতুর ব্যয় সংশোধন হয় সংসদে। ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা।
২৮ এপ্রিল ২০১১: পদ্মা সেতুতে অর্থায়নে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি সই।
২৯ জুন ২০১২: পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ঋণ স্থগিতের ঘোষণা দেয়।
২৩ জুলাই ২০১২: যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন পদত্যাগ করেন।
সেপ্টেম্বর ২০১২: শর্তসাপেক্ষে এ প্রকল্পে আবার ফেরত আসে বিশ্বব্যাংক।
২০১৩ সাল: পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ সহায়তার অনুরোধ প্রত্যাহার করে বাংলাদেশ সরকার।
১৭ জুন ২০১৪: পদ্মা সেতু নির্মাণে বাংলাদেশ সরকার ও চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানির আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়।
১২ ডিসেম্বর ২০১৫: পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু। উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: কানাডার আদালত জানায় পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ সত্য নয়।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭: পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান বসানো হয়।
২০১৭: শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ৩৭/৩৮ নম্বর পিলারের ওপর আরেকটি স্প্যান বসানো হয়।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮: স্প্যানে রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো শুরু।
১৯ মার্চ ২০১৯: সড়কপথের জন্য স্ল্যাব বসানোর কাজ শুরু।
জুলাই ২০১৯: জুলাই মাসে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজে মানুষের মাথা লাগার গুজব ছড়ানো হয়। গুজব ঠেকাতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হয় সেতু কর্তৃপক্ষকে।
১০ ডিসেম্বর ২০২০: সর্বশেষ স্প্যান বসানো হয়। এর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় সেতু। মোট ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানো হয়।
২০ জুন ২০২০: ২১ রেল-স্লাব বসানো শেষ হয়।
১৪ জুলাই ২০২১: পরীক্ষামূলক পিচঢালাই শুরু।
২৩ আগস্ট ২০২১: পদ্মা সেতুতে সর্বশেষ সড়ক স্ল্যাব স্থাপন।
১০ নভেম্বর, ২০২১: মূল সেতুতে পিচ ঢালাইয়ের কাজ শুরু
২৫ নভেম্বর ২০২১: সেতুর ভায়াডাক্টে প্রথম ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শুরু।
১৭ মে ২০২২: টোলের হার নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি।
২৩ মে ২০২২: সংযোগ সড়কসহ পুরো পিচঢালাইয়ে কাজ শেষ হয়।
২৯ মে ২০২২: নামকরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি।
৪ জুন ২০২২: মাওয়া প্রান্তের স্ট্রিট লাইট জ্বালানো হয়।
১৪ জুন ২০২২: একযোগে সবগুলো বাতি জ্বালানো হয়।
২২ জুন ২০২২: ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেতু বিভাগের কাছে পদ্মা সেতু হস্তান্তর করে।
২৫ জুন ২০২২: স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন।