×

সারাদেশ

মুহুরী নদীর বেঁড়িবাধের চার স্থান ভেঙ্গে ১২ গ্রাম প্লাবিত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ জুন ২০২২, ০২:০৫ পিএম

মুহুরী নদীর বেঁড়িবাধের চার স্থান ভেঙ্গে ১২ গ্রাম প্লাবিত

ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুরের বরইয়া এবং দেড়পাড়ায় ও সদর ইউনিয়নের বরইয়া এবং পরশুরাম উপজেলার পশ্চিম অলকায় ভাঙ্গনে গ্রামের নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ছবি: ভোরের কাগজ

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে ভারি বর্ষণে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সোমবার ফেনীর মুহুরী-কহুয়া নদীর পানি বিপদসীমার ১২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও আজ তা বিপদ সীমার ১১৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে।

এতে ফুলগাজী উপজেলায় মুহুরী নদীর বেঁড়িবাধের ৪টি স্থান ভেঙ্গে ১২টি গ্রামের নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানির তোড়ে ভাঙ্গন কবলিত গ্রামসমূহের অনেক বসতঘর, পুকুরের মাছ ও বীজতলা ক্ষতিগস্থ হয়েছে। এতে প্লাবিত এলাকার বাসিন্দারা দুঃখ দুর্দশার মধ্যে আছেন।

মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুরে ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুরের ১টি স্থানে মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙ্গে উত্তর দৌলতপুর, মধ্যম দৌলতপুর ও দক্ষিণ দৌলতপুর, কিসমত ঘনিয়ামোড়া, বরইয়া এবং দেড়পাড়ায় আরও ১টি স্থানে ভেঙ্গে দেড়পাড়া, নিলক্ষী, উত্তর শ্রীপুর, দক্ষিণ শ্রীপুর, ঘোষাইপুর গ্রামের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

অন্য দুইটি ভেঙ্গে যাওয়া স্থান হলো ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের বরইয়া ও পরশুরাম উপজেলার পশ্চিম অলকা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতি বছরেই বর্ষা মৌসুম আসলে অতি বর্ষণে ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ওইসব স্থান দিয়ে নদীর বাঁধ ভেঙ্গে পানি ডুকে তাদের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়। এতে ঘরবাড়ি, শত শত পুকুরের মাছ ও ফসল পানির তোড়ে ভেসে যায়।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবছর ভাঙ্গন স্থান নামমাত্র মেরামত হলেও বাঁধের কোনো স্থায়ী সমাধান হয়না। তাদের দাবি, নদী শাসনের মাধ্যমে সংস্কার করা হলেই নদী ভাঙ্গন রোধ সম্ভব হবে। স্থানীয় জনগণ ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় কোনো সাহায্য নয়, বাঁধের স্থায়ী সমাধান চায়।

এছাড়া বন্যার কারণে ফুলগাজীতে ৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। স্কুলগুলো হলো- জয়পুর আলহাজ নুরুল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর দৌলতপুর একরাম নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম ঘনিয়া মোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিসমত ঘনিয়া মোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বৈরাগপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিন দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড, ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন বলেন, মুহুরী-কহুয়া নদীর পানি বিপদসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি, পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করা হবে এবং বাঁধ নির্মাণ করার জন্য একটি প্রকল্প পাশ হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App