×

সারাদেশ

গাইবান্ধায় বাড়ছে নদনদীর পানি, বন্ধ ১২৬ বিদ্যালয়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ জুন ২০২২, ১০:০৬ পিএম

গাইবান্ধায় বাড়ছে নদনদীর পানি, বন্ধ ১২৬ বিদ্যালয়

গাইবান্ধায় বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে শত শত বাড়িঘর ও বিদ্যালয়। মঙ্গলবার তোলা। ছবি: ভোরের কাগজ

গাইবান্ধার বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার (২১ জুন) বিকাল ৩টায় ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা শহর পয়েন্টে বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্রের পানি তিস্তামুখ ঘাট পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়া তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি হলেও এ দুটি নদীর পানি এখনও বিপদসীমার নিচে রয়েছে।

ঘাঘট নদের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ভাঙন-ঝুঁকিতে রয়েছে গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধের প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশ। অতিবৃষ্টির কারণে এ বাঁধের বিভিন্ন অংশে ছোট বড় গর্ত ও মাটি ধ্বসে খাদের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় যে কোন সময় বাঁধ ধ্বসে জেলা শহর প্লাবিত হওয়ার আশংকায় রয়েছেন জনগণ।

জেলা প্রশাসন সুত্র জানিয়েছে, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নে ৯৬টি গ্রাম বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৪৭ হাজার ৫৬৩ জন মানুষ। এরমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৫ হাজার ৫৮৪ জন। বন্যা কবলিত চার উপজেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ৮০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা বিতরণ করা হচ্ছে এবং নতুন করে আরও বরাদ্দের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, বন্যা কবলিত ৪ উপজেলার ১১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পানি ওঠায় পাঠদান কার্যক্রম সম্পুর্ণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে জেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও সদর উপজেলার ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে পানি ওঠায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সুত্রে জানানো হয়েছে, এ পর্যন্ত বন্যা কবলিত ৪ উপজেলার এক হাজার ৩৪০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিরূপন করা যায়নি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App