×

পুরনো খবর

করোনার ভুয়া রিপোর্ট: সাবরিনা-আরিফদের সর্বোচ্চ সাজা দাবি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২২, ০৬:২৩ পিএম

করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় ভুয়া রিপোর্ট দেয়ায় প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীসহ আট আসামির সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

সোমবার (২০ জুন) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে ২১ বছর ৬ মাস সাজা দাবি করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান। এরআগে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। তারা আসামিদের খালাস দাবি করেন।

এদিকে মামলার এক সাক্ষীকে জেরা করতে পারেন বলে তাকে আবার জেরা করার আবেদন করেন সাবরিনার আইনজীবী প্রণব কান্তি। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৯ জুন ওই সাক্ষীকে জেরার তারিখ ধার্য করেন। এরপর আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করবেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান।

এরআগে গত ৮ জুন সাবরিনার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনে তার খালাস দাবি জানান আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ। মামলাটির বাকি আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা। ২০২০ সালের ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে আরিফুল চৌধুরীসহ ছয় জনকে ও পরবর্তীতে স্ত্রী সাবরিনাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। তেঁজগাও থানায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলায় বলা হয়, আসামিরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয় যার অধিকাংশ ভুয়া।

এ অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয়া হয়। এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়। ২০২০ সালের ২০ আগস্ট সাবরিনাসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App