সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ঢাবির সেই ২১ শিক্ষার্থী
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২২, ১১:৩৫ এএম
রবিবার সকালে সেনাবাহিনীর একটি দল সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে গিয়ে আটকে পড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যদের উদ্ধার করেছে। ছবি: ভোরের কাগজ
সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে গিয়ে আটকে পড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ জন শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যদের উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর একটি দল।
রবিবার (১৯ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে তাদের উদ্ধার করে ক্যান্টনমেন্টের উদ্দেশে রওনা দেয়। বর্তমানে তারা গোবিন্দগঞ্জ ক্যাম্পে অবস্থান করছে। তারা সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সিলেটে দিকে রওয়ানা দেবে।
নদীতে আটকে পড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শোয়াইব আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থীসহ ৮০ জন বহনকারী ‘কপোতাক্ষ অনির্বাণ’ লঞ্চটি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা নদীতে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়েছিল। এরপর শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে লঞ্চটি তীরে ভিড়ে। আজ সকাল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা তীরেই অবস্থান করেন।
[caption id="attachment_355052" align="aligncenter" width="1080"] টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে গিয়ে আটকে পড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]সার্বিক বিষয়ে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের একজন শোয়াইব আহমেদ জানান, আমরা গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দোয়ারাবাজার এলাকার একটি ফেরিঘাটে আশ্রয় নিয়েছিলাম এবং সকাল পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করেছিলাম। আজ সকাল ৮টার পর সেনাবাহিনী আমাদের উদ্ধার করতে আসে। এখন আমরা গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২১ জন একটি নৌযানে করে গোবিন্দগঞ্জ ক্যাম্পে অবস্থান করছি। আর বাকি যারা আটকা পড়েছিলেন, তারা আলাদা আলাদা লঞ্চে যাচ্ছেন।
গতকাল শনিবার দুপুর ২টার দিকে ‘কপোতাক্ষ অনির্বাণ’ নামের লঞ্চে করে ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২১ জন, ফার্মেসি বিভাগের ১৭ জন, জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৮০ জন জেলা পুলিশ লাইন্স থেকে সিলেট শহরের দিকে রওনা দেন। কিন্তু, হঠাৎ লঞ্চের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার-সংলগ্ন সুরমা নদীর চরে আটকা পড়েন। প্রচণ্ড বৃষ্টি, বাতাস আর নদীর ঢেউ তাঁদের বিপদগ্রস্ত করে ফেলে।
আটকে পড়া ওই শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা কামনা করেছিলেন ঢাবির প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান আবুল মনসুর আহাম্মদও শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন বলে জানিয়েছেন।
গত ১৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে সুনামগঞ্জ ভ্রমণে গিয়ে বন্যায় আটকা পড়েন ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী। পরে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পানসী রেস্তোরাঁ থেকে তাঁদের উদ্ধার করে গত শুক্রবার বিকেলে জেলা পুলিশ লাইন্সে নেওয়া হয়। পরে গতকাল শনিবার ওই শিক্ষার্থীরা আবার আটকা পড়েন।