×

সারাদেশ

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে বেড়েছে ফেরি ভাড়া

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২২, ০৪:০২ পিএম

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে বেড়েছে ফেরি ভাড়া

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌ পথে ফেরি পারাপারে নতুন ভাড়া রবিবার (১৯ জুন) হতে কার্যকর করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। ফেরিতে যানবাহন পারাপারে ২০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ১ থেকে ৩ টন পণ্যবাহী ছোট ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যানের ভাড়া ৭৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯০০ টাকা, ৩ থেকে ৫ টনের ট্রাক ৮৮০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০ টাকা, ৫ থেকে ৮ টন পণ্যবাহী ট্রাক, লরি ও কাভার্ড ভ্যানের ভাড়া ১ হাজার ৬০ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ৩০০ এবং ৮ থেকে ১১ টনের বড় ট্রাক ও লরির ভাড়া ১ হাজার ৪৬০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৭৫০ টাকা কার্যকর করা হয়েছে।

এই রুটে মিনিবাস বা কোস্টার পারাপারে ৯০০ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ৫০ টাকা, মাঝারি আকারের বাস ১ হাজার ৫৮০ থেকে ১ হাজার ৭৫০ টাকা এবং বড় বাসের ভাড়া ১ হাজার ৮২০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২ হাজার ১০০ টাকা করা হয়েছে।

এ ছাড়া মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের ক্ষেত্রে ৮০০ টাকার স্থলে ১ হাজার, পাজেরো গাড়ি ৭৩০ টাকার স্থলে ৯০০, কার ও জিপ ৪৫০ টাকার স্থলে ৫৪০, মোটরসাইকেল ৭০ টাকার স্থলে ১০০ টাকা গুনতে হচ্ছে। কিন্তু যাত্রীদের ক্ষেত্রে জনপ্রতি ভাড়া থাকছে অপরিবর্তিত।

ফেরি পারাপারে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্তে চালকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী পণ্য বোঝাই দৌলতদিয়া ঘাটে আসা ট্রাকচালক রহিমুদ্দিন জানান, এমনিতেই গাড়ির পার্টসের (যন্ত্রাংশের) দাম বাড়ছে। তারপর আবার বেড়েছে ফেরিভাড়া। এটি মরার পর খাড়ার ঘা ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা এখন কী করব! মালিক থেকে আমরা আর কয় টাকাই পাই। ইতোমধ্যে পদ্মা সেতু পারাপারে গাড়ির টোল বেশি ধরেছে। আমাদের মতো যারা রোডে গাড়ি চালায়, তাদের জন্য সরকারের একটা বন্দোবস্ত করা উচিত।

বিআইডব্লিউটিসি'র আরিচা ঘাট ম্যানেজার আবু আব্দুল্লাহ ভোরের কাগজকে জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম পাঁচ ছয় মাস আগেই বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু তখন ফেরি ভাড়া তাৎক্ষণিক না বাড়িয়ে ১৯ জুন ভোর থেকে নতুন ভাড়া কার্যকর করা হয়েছে। আগের ভাড়ার তুলনায় গড়ে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

আরিচা বিআইডব্লিউটিসি'র ডিজিএম খালিদ নেওয়াজ কাছ থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তার মোবাইল নম্বরে অসংখ্যবার কল দিলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেন নি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App