×

সারাদেশ

নেত্রকোণার বন্যায় পানিবন্দি লাখো মানুষ, উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২২, ০৪:২৭ পিএম

নেত্রকোণার বন্যায় পানিবন্দি লাখো মানুষ, উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনী

নেত্রকোণার বন্যায় পানিবন্দিদের উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনী। ছবি: ভোরের কাগজ

পাহাড়ী ঢল ও অব্যাহত ভারী বৃষ্টিতে জেলার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দাসহ বিভিন্ন উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। জেলার ৬টি উপজেলার ৩৯টি ইউনিয়নে পাহাড়িঢল ও অতিবৃষ্টিতে বন্যা কবলিত হয়েছে। এসকল এলাকায় পুকুর তালিয়ে ভেসে গেছে মাছ। কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও বারহাট্টায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বড়ধলা গ্রামের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আব্দুল খালেক, জনাব আলী ও শাকের আলী জানান,আমাদের বাড়ীঘর বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন মহিলা ও শিশুদের উজানে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়েছি।আর ভেজা ধান-চালও ট্রাক্টর লড়ী দিয়ে আত্মীয়দের বাড়ীতে পাঠাচ্ছি। তাছাড়া গরু-ছাগল নিয়ে রাস্তায় তাবু করে রাত্রিযাপন করছি। আমরা প্রশাসনের সহযোগীতা চাই। বেশী। স্থানীয় প্রশাসন বন্যা দুর্গতদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য দুই উপজেলার বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য খুলে দিয়েছে।

নেত্রকোণা পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা যায়, টানা ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে নেত্রকোনার কংশ, মগড়া, সোমেশ্বরী, ধনু, উব্দাখালিসহ ছোট-বড় সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। উব্দাখালী নদী কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপদসীমার ১১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, রবিবার নেত্রকোণায় বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিতন হয়। উক্ত সভায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় এবং ক্ষয়ক্ষতি থেকে উত্তরণের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়।এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, নেত্রকোণা পৌরসভার মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যানবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।

তিনি আরো জানান,বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। অন্যদিকে গতকাল জেলার বারহাট্টা উপজেলায় রেলপথের যে ৩৪ নাম্বার ব্রীজটি বন্যার তোড়ে ভেঙে গিয়েছিল, সেটি মেরামত হয়েছে কিনা এব্যাপারে জানতে চাইলে নেত্রকোণা রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার নাজমুল হক খান জানান,আমরা চেষ্টা করছি মেরামত করতে।

শুক্রবার আমাদের দপ্তরের ডিজি এবং চীফ ইঞ্জিনিয়ার এসেছিল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে।আর আপাতত নেত্রকোণা টু ঢাকা পর্যন্ত আন্তঃনগরসহ সকল রেল চলাচল চালু আছে।অন্যদিকে বন্যার্তদের উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনী সংযুক্ত হওয়ার বিষয়ে খালিয়াজুড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম জানান, সেনাবাহিনীর ১৯ পদাতিক ডিভিশনের ১৩০ জনের একটি দল মদন এসে অবস্থান করেছে।আজ সকাল থেকে আমি তাদেরকে দূর্গত এলাকাসমূহে নিয়ে যাই,তারা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App