উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ও ভারী বর্ষণে গাইবান্ধায় বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার নদী তীরবর্তী চারটি উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ইউনিয়নগুলো হচ্ছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর, সুন্দরগঞ্জের হরিপুর, চন্ডিপুর, কাপাসিয়া, ফুলছড়ির এরেন্ডাবাড়ি, ফজলুপুর, গজারিয়া, ফুলছড়ি এবং সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া। এসব ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। এক চরাঞ্চল থেকে আরেক চরাঞ্চলে যাতায়াতের রাস্তাঘাট ডুবেছে। ফলে সেখানকার যোগাযোগ ব্যহত হয়ে পড়েছে।

শনিবার (১৮ জুন) বিকেলে গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শরীফুল আলম বলেন, উপজেলার কামারজানি ও মোল্লারচর ইউনিয়নের বেশকিছু চরের নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট ও ঘড়বাড়ি ডুবে গেছে। গত কয়েক দিনে ওই দুই ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তালিকা হলে তাদেরকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে।

একই সময় ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, শনিবার সকালে তিনি এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নে সরেজমিনে গেছেন। অন্য ইউনিয়নেরও খোঁজ নিয়েছেন। তবে উপজেলার ইউনিয়নগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হলেও বাড়িঘরে এখনো পানি উঠেনি। কিন্তু কয়েকটি ইউনিয়নে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। এদিকে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেল তিনটা থেকে শনিবার বিকেল তিনটা পর্যন্ত চব্বিশ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ পয়েন্টে ১৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে, ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৪০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে, তিন্তার পানি সুন্দরগঞ্জের পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া করোতোয়া নদীর পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এরমধ্যে ঘাঘট বিপদসীমা ছুই ছুই করছে। এসব বিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান বলেন, আরও কয়েকদিন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। তবে কোন নদীর পানিই বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।