×

জাতীয়

ছয় মাসে চিড়িয়াখানায় আটটি বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২২, ০৮:১০ পিএম

ছয় মাসে চিড়িয়াখানায় আটটি বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন প্রজাতির তিন হাজার ৭০টি পশুপাখি রয়েছে। গত ছয় মাসের আটটি বন্যপ্রাণী জাতীয় চিড়িয়াখানায় মৃত্যুবরণ করেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) জাতীয় সংসদে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা জনসাধারণের চিত্তবিনোদনের জন্য একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতায় দেশে মিরপুরে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা এবং রংপুর চিড়িয়াখানা দুটি চিড়িয়াখানা রয়েছে।

এদিকে দেশের সাফারি পার্কগুলো মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে না। বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন প্রজাতির তিন হাজার ৭০টি পশুপাখি রয়েছে। গত প্রায় ছয়মাসে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় দুটি জিরাফ শাবক, দুটি ব্যাঘ্র শাবক, একটি আফ্রিকান সিংহ, একটি ওয়াইল্ডবিস্ট, একটি ইম্পালা ও একটি জেব্রা শাবকের মৃত্যু ঘটেছে।

সম্প্রতি চিড়িয়াখানায় প্রতিটি পশুর মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে তাৎক্ষনিকভাবে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয় এবং প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের জন্য ভিসেরার নমুনা কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগার কর্তৃক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। পরবর্তীতে পশু মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানের জন্য আলাদা করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী জিরাফ শাবক কার্ডিয়াক অ্যারেস্টজনিত কারণে, আফ্রিকান সিংহ অ্যানথ্রক্স রোগে, ব্যাঘ্র শাবকদ্বয় ট্রিপানোসোমিয়াসিস রোগে এবং কয়েকটি পশু অন্যান্য রোগ ও বয়সজনিত কারণে মৃত্যু ঘটেছে। এ বিষয়ে প্রাপ্ত তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

ভবিষ্যতে চিড়িয়াখানার পশু-পাখির রোগজনিত কারণে মৃত্যু প্রতিরোধে টিকা প্রদান, চিকিৎসা ও পরিচর্যায় নিম্নলিখিত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করা হয়েছে:

বন্য পশুপাখির চিকিৎসা ব্যবস্থা আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ট্রাঙ্কুলাইজিং গান ক্রয় করা হয়েছে ও ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রাণিস্বাস্থ্য সেবা ও পরিচর্যা নিরবিচ্ছিন্ন করার জন্য ভেটেরিনারি চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের দ্বারা রোস্টার ডিউটির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জীবনিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নিমিত্তে প্রতিটি খাঁচার প্রবেশদ্বারে ফুটপাত নির্মাণ করা হয়েছে।

নিয়মিত ভোর সাতটায় ও বিকাল তিনটায় খাঁচার আশেপাশে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। মশা-মাছির উপদ্রব কমানোর লক্ষ্যে খাঁচার ভেত এবং বাহিরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং লার্ভিসাইট ছিটানো কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

দর্শণার্থী ও পশুপাখির সুরক্ষার স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ খাঁচায় দ্বি-স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App