×

জাতীয়

অর্থমন্ত্রীর কথায় আমি কালো টাকার মালিক: সংসদে চুন্নু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২২, ০৮:৪৫ পিএম

অর্থমন্ত্রীর কথায় আমি কালো টাকার মালিক: সংসদে চুন্নু

বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু

অর্থমন্ত্রীর কথায় আমি কালো টাকার মালিক বলে সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করেছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন ঢাকায় যার ফ্ল্যাট প্লট আছে সে কালো টাকার মালিক। আমি পাঁচবার এমপি হয়েছি, তিনবার হয়েছি মন্ত্রী। আমার ঢাকায় কোনো বাড়ি নাই। ২০১১ সালে আমি র্পবাচলে প্লট পেয়েছিলাম। তার মানে অর্থমন্ত্রীর নতুন সংজ্ঞা অনুযায়ী কালো টাকার মালিক হয়ে গেছি আমি।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিকেলে সংসদ অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করা নিয়ে নতুন করে ভাবনার কথাও তুলে ধরেন তিনি।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, একটা প্লট থাকার জন্য যদি কালো টাকার মালিক হয় তাহলে অর্থমন্ত্রীর নতুন সঙ্গা অনুযায়ী আপনি (স্পিকার), রাষ্ট্রপতি, আমি কালো টাকার মালিক হয়ে গেছি।

এ সময় স্পিকারের উদ্দেশ্যে বিরোধী দলের এই নেতা আরও বলেন, আমরা ঢাকায় যারা আছি আপনি, রাষ্ট্রপতি, আমি সবাই কালো টাকার মালিক। তবে আমি আইন লঙ্ঘন করে কালো টাকার মালিকে হয়েছি কিনা সংসদে এর ব্যাখ্যা চাই।

বাজেটের সমালোচনা করে চুন্নু আরও বলেন, অর্থমন্ত্রী বাজেট দিয়েছেন মনে মাধুরি মিশিয়ে কথার ফুলছড়ি দিয়ে এই বাজেট প্রণয়ন করেছেন, যার পাঠ উদ্ধার করা কঠিন। সামাজিক সুরক্ষা খাতে এক লাখ সাত হাজার কোটি টাকা ছিল চলতি বাজেটে, এবারের বাজেটে এক লাখ ১৩ হাজার কোটি করা হয়েছে। এক লাখ সাত হাজার কোটি টাকা যখন ছিল তখন ছিল জিডিপির তিন দশমিক ১১ শতাংশ। এবার ‍নিচে নেমে গেছে এবার জিডিপির দুই দশমিক ৫৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির কিভাবে নিয়ন্ত্রণ হবে সেটা বাজেটে উল্লেখ করেন নাই।

পাচারকৃত অর্থ ফেরাতে এ সময় অর্থমন্ত্রীর বাজেটের কড়া সমালোচনা করে চুন্নু বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন সাত শতাংশ ট্যাক্স দিলে পাচারকৃত অর্থ বৈধ হয়ে যাবে। ৪০ বছর যাবৎ সব সরকার (আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি সরকার) কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু কালো টাকা সাদা হয়েছে কম। আমি যখন ব্যবসা করি ২৫ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হয়। তাহলে বিদেশে টাকা পাঠিয়ে সাত শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে হালাল করবো। এটা মানি লন্ডারিং আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আইন সংশোধন করা না হলে এটা বাস্তবায়নের কোন সুযোগ নেই। কিভাবে বিদেশ থেকে পাচার করা টাকা আনবেন। আইন সংশোধন না হলে এই আইন বাস্তবায়ন হবে না। এই সুযোগ দেওয়া সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বেআইনি অনৈতিক। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বিদেশে টাকা যায় সুখের জন্য। তাহলে যারা বিদেশে সুখের জন্য টাকা নিয়েছে, তারা কি দেশে ফিরে আসবেন? এই টাকা কি ফিরে আনতে পারবেন? আনলেও কিছু আনবেন। এতে দেখা যাবে ভবিষতে এই সুযোগ নিয়ে অনেকে টাকা পাচার করছে। সিগারেটের উপর আমরা ট্যাক্স বাড়াতে বলি। জনগণ চায় ১০০ ভাগ ট্যাক্স বাড়ানো হোক সিগারেটে। ট্যাক্স বাড়ান না, তামাকের ওপর ট্যাক্স বাড়ান, সিগারেটের ওপর ট্যাক্স বাড়ান। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App