×

অর্থনীতি

পুঁজিবাজারে নারীদের বিনিয়োগের প্রশিক্ষণের অভাব: বিএসইসি কমিশন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২২, ০৫:৪১ পিএম

পুঁজিবাজারে নারীদের বিনিয়োগের প্রশিক্ষণের অভাব: বিএসইসি কমিশন

ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ

দেশের পুঁজিবাজার বড় হচ্ছে তবে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষন প্রাপ্ত নারী বিনিয়োগকারী আসছে না বলে জানান বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত নারী বিনিয়োগকারী আসলে তাদের বিনিয়োগ ঝুঁকি অনেক কম থাকে। মঙ্গলবার (১৪ জুন) বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) কর্তৃক আয়োজিত দেশের পুঁজিবাজারে নারী বিনিয়োগকারীদের প্রশিক্ষন কর্মশালায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। অংশগ্রহণ বাড়াতে এবং সঠিক বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করতে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের আয়োজন করে আসছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসি কমিশনার আরও বলেন, জিডিপিতে নারীদের অবদান বাড়ছে। তবে তাদের অবদান অনেকাংশ হিসাবের বাইরে থেকে যাচ্ছে। ২০১০ সালে ধসের পর পুঁজিবাজার ছেড়ে চলে যান বিপুল সংখ্যক নারী। সাত লাখ থেকে কমে নারীর সংখ্যা চলে আসে পাঁচ লাখের নিচে। এরপর বাজারে নারীর অংশগ্রহণ সেভাবে লক্ষ করা যায়নি। তবে সম্প্রতি পুঁজিবাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকার পাশাপাশি প্রাইমারী মার্কেটে কিছু ভালো মানের কোম্পানির আইপিও থাকায় আবারও বাজারে যুক্ত হচ্ছে নারী। প্রাপ্ত তথ্যমতে, সম্প্রতি প্রতিদিন গড়ে পাঁচ শতাধিক নারী পুঁজিবাজারের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে বিও সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজেটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে বিষয়টি জানা যায়। সিডিবিএলের দেওয়া তথ্যমতে, গত কয়েক বছরের মধ্যে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে (পাঁচ কার্যদিবস) সবচেয়ে বেশি নারী বিও অ্যাকাউন্ট খুলেছে। এই সময়ে নারীদের জন্য মোট বিও অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে দুই হাজার ৫৬৭টি, প্রতিদিন যার পরিমাণ গড়ে ৫১৩টি। ৩০ সেপ্টেম্বর পুঁজিবাজারে নারীদের মোট বিও অ্যাকাউন্ট ছিল পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭০৬টি। ৭ অক্টোবর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৯৫ হাজার ২৭৩টিতে। এদিকে নারী বিনিয়োগকারীদের বাজারের প্রতি আগ্রহী হওয়ার কারণ হিসেবে আইপিও অফারের কথা বলছেন বাজার-সংশ্লিষ্টরা। তাদের অভিমত, অধিকাংশ নারীই সেকেন্ডারি মার্কেটের চেয়ে প্রাইমারী মার্কেটের প্রতি আগ্রহ বেশি দেখায়, কারণ এখানে কোনো ঝুঁকি নেই। সেজন্য তারা প্রাইমারী মার্কেটে বিনিয়োগ করতে চান। ফলে আইপিওর অফার থাকলে তাদের বাজারের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে সেকেন্ডারি মার্কেটেও তাদের উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে। এটা ভালো খবর।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App