×

জাতীয়

কোভিডকালে ৩২ শতাংশ নারী খাদ্য অনিশ্চয়তায় পড়েছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২২, ০৯:৩১ পিএম

কোভিডকালে ৩২ শতাংশ নারী খাদ্য অনিশ্চয়তায় পড়েছে

জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ

কোভিড-১৯ মহামারি সবক্ষেত্রেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে নারী ও শিশুর উপর এই নেতিবাচক প্রভাব সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পরেছিলো নারীরা। এক গবেষণা জরিপে দেখা গেছে যে, এই মহামারিকালে ৩২ শতাংশ নারী খাদ্য অনিশ্চয়তায় ভুগেছে। এই সময় নারীর প্রতি সহিংসতা, কর্ম ঘণ্টা, মানসিক চাপ বেড়েছে। স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তি বা নেয়ার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাবও পড়েছিলো।

‘কোভিড-১৯ জেন্ডার রিস্ক, ইমপেক্ট এন্ড রেসপন্স: রিসার্চ এন্ড পলিসি গাইডেন্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক জরিপে এমন তথ্যই ওঠে এসছে। সোমবার (১৩ জুন) সকালে ব্র্যাক সেন্টারের অডিটোরিয়ামে এই জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অধীন জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের এক জরিপে আর্থিক সহায়তা করেছে বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ ধাপে এই জরিপটি পরিচালিত হয়।

ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের অধ্যাপক ড. অতনু রাব্বানি এবং সহযোগী গবেষক মৌমিতা ইসলাম জরিপের তথ্য তুলে ধরেন। ব্র্যাকের চেয়ারপার্সন ড. জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর। বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের ভারপ্রাপ্ত ডিন ও অধ্যাপক ড. মালবিকা সরকার, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ড. নাদিয়া বিনতে আমিন, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারহা কবির, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. শারমিন্দ নিলোর্মি, ডেইলি স্টারের সিনিয়র ডেপুটি এডিটর আশা মেহেরিন আমিন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, করোনা মহামারি নারীর উপর সামাজিক ও জেন্ডার এই দুই ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলেছে। পুরুষের তুলনায় নারীরা সামাজিক ও আর্থিকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। জরিপ প্রসঙ্গে জানানো হয়; বাংলাদেশ, কেনিয়া ও নাইজেরিয়া এই ৩ দেশে এই জরিপটি করা হয়েছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ভাতের (শর্করা) ওপর নির্ভরশীলতা কিছুটা কমে গিয়েছিল। অপরদিকে মাছ, মাংস, ডিম দুধ অর্থাৎ প্রোটিন জাতীয় খাবার ছেড়ে দেয়ার প্রবণতাও বেশি ছিল। কিন্তু পরে দেখা গেছে, ভাত গ্রহণ করা ঠিক থাকলেও মানসম্মত খাবার গ্রহণের পরিমাণ কমে এসেছে। ফলমূলের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। এদিকে লকডাউন চলাকালে নারীর মজুরি বিহীন গৃহস্থালি কাজের পরিমাণ এবং কর্মঘণ্টা বেড়ে গিয়েছিলো। চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিলো। লকডাউনের পর যদিও অনেকেই চাকরি ফিরে পেয়েছেন, কিন্তু আয় আগের মতো হয়নি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App