×

জাতীয়

অর্থপাচারকারীদের একজনও গ্রেপ্তার হয়নি: হারুন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২২, ০৯:৩৬ পিএম

চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন খাতে বরাদ্দের সমালোচনা করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। তিনি বলেছেন, যারা বিদেশে অর্থ পাচার করেছে তাদের একজনকেও গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনা যায়নি। পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে পাচারকারিদের দায়মুক্তি দিয়ে কোনো লাভ হবে না।

তবে এ বিষয়ে কোনও জবাব দেননি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সম্পূরক বাজেটের আলোচনায় মন্ত্রী বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জের সংসদ সদস্য কিছু কথা বলেছেন। কিন্তু আমি আজকে কোনও জবাব দেবো না। বাজেট বক্তৃতায় যখন সময় পাবো, তখন অবশ্যই জবাব দেবো।’

সোমবার (১৩ জুন) সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি বাজেটেই সরকারের উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের লক্ষ্যে সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকসহ সরকারের আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রাক্কলন করা হয়ে থাকে। পরে বাজেট বাস্তবায়নকালে যৌক্তিক কারণে কখনও কখনও কিছুটা সংশোধন করার প্রয়োজন হয়। এ বছরের প্রেক্ষাপট আমাদের সবার জানা। কোভিড ১৯ ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে গোটা বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতি। যার কমবেশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আঘাত হেনেছে। সেটা বিবেচনায় নিয়ে সম্পূরক বাজেটে যৌক্তিক কারণে ব্যয় এবং ঘাটতি কিছুটা সমন্বয় করেছি। তবে আমাদের জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ২ শতাংশ অপরিবর্তিত রয়েছে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস চূড়ান্ত হিসাবে জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি অর্জিত হবে।

এর আগে সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে হারুনুর রশীদ বলেন, দেশের অর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি দুর্বল। লুটেরা দুনীতিবাজরা বিদেশে অর্থ পাচার করছে। গত ১০-১৫ বছরে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। পাচারকারিদের একজনকেও আমরা গ্রেপ্তার করতে পারিনি, আইনের আওতায় আনতে পারিনি। পি কে হালদারকে আমরা কেন গ্রেপ্তার করতে পারলাম না। ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছে, ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র, কেন তাকে ভারত থেকে আনতে পারলাম না। ভারত যে সব ক্রিমিনালকে গ্রেপ্তার করেছে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে হবে। আর্থিক সংগঠনগুলোর ব্যবস্থাপনায় যে দুর্বলতা রয়েছে তা কাটিয়ে প্রতিষ্ঠাগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে।

হারুন আরও বলেন, যারা টাকা পচার করেছে এই টাকা ফিরিয়ে আনার জন্য তাদেরকে দায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে। অর্থ পচারকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে দায় মুক্তি দিলে হবে না। যেসব জায়গায় বরাদ্দ বাড়িয়েছে, তা অপচয় হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। দেশে কি নির্বাচন হচ্ছে? জননিরাপত্তা আইন বিভাগের কাজ জনগণকে নিরাপত্তা দেয়া, দেশে আজ নারীরা নিরাপদ না।

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে হারুন বলেন, নির্বাচন কমিশনে আপনি সম্পুরক বাজেট বাড়িয়েছেন, কিন্তু ইতিমধ্যে সিইসি তার অপারগতা প্রকাশ করেছে। তিনি কুমিল্লা থেকে একজন এমপিকে সরাতে পারলেন না। তাহলে এ কমিশন কী করতে পারবে? সাবেক নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা বলছেন, ইভিএমে কিছু ত্রুটি আছে। তাহলে কেন তিনি ইভিএমে ভোট করলেন, তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। বর্তমান ইসি বলছেন, ইভিএমে নিয়ে ভালোভাবে পর্যালোচনা করতে হবে, তাহলে কেন ইভিএমে তিনি ভোট করছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থারও সমালোচনা করেন এমপি হারুন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App