×

আন্তর্জাতিক

আগ্নেয়াস্ত্র আইন কঠোর করার দাবিতে আমেরিকাজুড়ে বিক্ষোভ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২২, ০২:১৭ পিএম

আগ্নেয়াস্ত্র আইন কঠোর করার দাবিতে আমেরিকাজুড়ে বিক্ষোভ

আমেরিকাজুড়ে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন করার দাবি নতুন করে জোরদার করে হয়ে উঠেছে

আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোর করার দাবিতে আমেরিকার বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। বন্দুকধারীর নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের দুটো ঘটনার পর দেশটিতে এই দাবি নতুন করে জোরদার হয়েছে। যারা মিছিলে অংশ নিয়েছেন তাদের শ্লোগান ছিল, “গুলিবিদ্ধ হওয়া থেকে স্বাধীনতা চাই আমি”।

অনেকেই প্ল্যাকার্ড বহন করছিলেন, “আমাদের শিশুদের বাঁচান, আগ্নেয়াস্ত্র নয়।” এই বিক্ষোভকে সমর্থন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি কংগ্রেসের প্রতি এ বিষয়ক আইন পাশ করার আহ্বান জানিয়েছেন। অবশ্য এমন আইন পাশ হওয়ার সম্ভাবনা যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষীণ কারণ রিপাবলিকানরা এর বিরুদ্ধাচরণ করবে বলে জোর ধারণা রয়েছে। খবর বিবিসির।

টেক্সাসের রব এলিমেন্টারি স্কুলে গত চব্বিশে মে এক বন্দুকধারীর নির্বিচার গুলিতে উনিশটি শিশু ও দুজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি নিহত হয়। নিউইয়র্কের বাফালো শহরের আরেক ঘটনায় নিহত হয় দশ জন। এ দুটি ঘটনা আমেরিকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ কঠোর করার দাবিকে নতুন করে জোরদার করে।

দুই হাজার আঠারো সঙ্গে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ড স্কুল শুটিং থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের গঠন করা আগ্নেয়াস্ত্র নিরাপত্তা বিষয়ক গোষ্ঠী ‘মার্চ ফর আওয়ার লাইভস’ শনিবার জানায় তারা দেশজুড়ে সাড়ে চারশো মিছিল-সমাবেশের আয়োজন করেছে।

ওয়াশিংটন ডিসি, নিউ ইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলস ও শিকাগোর মত শহরেও অনুষ্ঠিত হয়েছে এই সমাবেশ। সংগঠনটি বলছে, মানুষ যখন মারা যাচ্ছে তখন রাজনীতিবিদদের ‘চুপচাপ বসে থাকতে’ দেবে না তারা। মার্চ ফর আওয়ার লাইভস (এমএফওএল) বলছে, রাজনৈতিক নেতাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে আমেরিকানদের মৃত্যু হচ্ছে।

ওয়াশিংটন ডিসিতে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে পার্কল্যান্ড স্কুল শুটিং থেকে বেঁচে যাওয়া একজন ডেভিড হগ বলেন, ইউভালডেতে শিশুদের হত্যার ঘটনার পর আমাদের ‘ক্রুদ্ধ হওয়া উচিত ছিল, আমাদের পরিবর্তনের দাবি করা উচিত ছিল - সীমাহীন বিতর্ক নয়, বরং এখনই পরিবর্তনের দাবি।’

গারনেল হুইটফিল্ড - যার ৬৮ বছর বয়স্ক মা ১৪মে নিউইয়র্কের বাফালো শহরে নির্বিচার গুলিতে নিহত হয়েছেন - তিনি ওয়াশিংটনের জনসমাগমে বলেন, “আমরা এখানে এসেছি ন্যায়বিচারের দাবিতে”। আমরা এখানে তাদের সঙ্গে সমবেত হয়েছি যারা দৃঢ়তার সঙ্গে ‘সংবেদনশীল আগ্নেয়াস্ত্র আইনের পক্ষে’।

অন্যান্য নীতি পরিবর্তনের পাশাপাশি এমএফওএল অ্যাসল্ট অস্ত্র নিষিদ্ধ, একটি জাতীয় লাইসেন্স ব্যবস্থা যেখানে বন্দুকের মালিকের নাম নিবন্ধিত থাকবে এবং অস্ত্র ক্রেতার অতীত জীবন তদন্ত করে দেখার ব্যবস্থা চালুর দাবি জানানো হয়।

এমএফওএল-এর প্রথম বিক্ষোভটি হয়েছিল ২০১৮ সালে, যখন পার্কল্যান্ডের একটি স্কুল শুটিংয়ে ১৪জন শিক্ষার্থী ও তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক নিহত হয়েছিলেন। আয়োজকরা সে সময়ে বলেছিলেন, এটা ছিল আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এক দিনে সবচেয়ে বড় সমাবেশ।

ওই সমাবেশে যোগ দিতে আমেরিকার হাজার হাজার শিক্ষার্থী শ্রেণীকক্ষ থেকে বেরিয়ে এসেছিল।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, তিনি শনিবারের বিক্ষোভের পক্ষে আছেন। এই ডেমোক্র্যাট নেতা কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অ্যাসল্ট অস্ত্র নিষিদ্ধ এবং অতীত খতিয়ে দেখার পরিধি বাড়ানোসহ অন্যান্য নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নেবার।

জো বাইডেন টুইটারে লেখেন, “আমি তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে কংগ্রেসের প্রতি আমার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছি: কিছু একটা করুন”।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App