×

অর্থনীতি

কিছু কর প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করে বাজেটকে সময়োপযোগী করা যাবে: আতিউর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২২, ০৭:০১ পিএম

কিছু কর প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করে বাজেটকে সময়োপযোগী করা যাবে: আতিউর

শনিবার রাজধানীর বাংলামোটরে উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অনলাইনে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। ছবি: ভোরের কাগজ

আমদানি-নির্ভরতা কমানোর চাপ ও করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার অর্থায়নের জন্য বরাদ্দের চাহিদা- এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য করে একটি সতর্ক বাজেট আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাব আনীত হয়েছে।

শনিবার (১১ জুন) সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অনলাইনে মূল নিবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। এ সময় বিশেষজ্ঞ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার প্রধান অর্থনীতিবিদ রবার্ট শুভ্র গুদা, পলিসি অ্যানালিস্ট জিনিয়া শারমিন, অর্থনীতিবিদ ড. জামাল উদ্দীন ও সমাজতাত্ত্বিক খন্দকার সাখাওয়াত আলী।

ড. আতিউর ঢালাওভাবে সব কোম্পানির জন্য উৎসে কর বাড়ানো, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর কর বৃদ্ধি এবং পাচার করা টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার সুযোগ রাখার যে প্রস্তাবগুলো বাজেটে আছে সেগুলো পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, নাগরিকদের আর্থসামাজিক সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রবৃদ্ধি সচল রাখার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এগিয়ে নেয়াটিই এ বাজেটের লক্ষ্য। তবে বাজেটের কিছু কর প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করে বাজেটকে সময়োপযোগী করা যাবে।

এ মুহূর্তে জরুরি নয় এমন ব্যয় আরও সঙ্কুচিত করে সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে বাজেট আরও বাড়ানোর পক্ষে মত দেন তিনি।

রবার্ট শুভ্র গুদা বলেন, নাগরিকরা স্বাস্থ্যসেবায় যা ব্যয় করেন তার দুই-তৃতীয়াংশ হয় মূলত ঔষধ কেনার জন্য। স্বাস্থ্য বাজেটের ঔষধ ও পচনশীল চিকিৎসা সামগ্রী উপখাতে বরাদ্দ মাত্র হাজার-বারোশো কোটি টাকা বাড়ালেই গ্রামাঞ্চলে মানুষের এ বাবদ ব্যয় উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে আসবে।

জিনিয়া শারমিন, অর্থমন্ত্রী জ্বালানি ও সারে ভর্তুকি প্রয়োজনবোধে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়ানোর কথা বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন। এই নীতি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলোর ক্ষেত্রেও প্রয়োগ হলে তা সবার জন্য মঙ্গলজনক হবে।

ড. জামাল উদ্দিন কর-জিডিপির অনুপাত বাড়ানো ও এনবিআরের রাজস্ব আহরণের দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে বলেন, উপজেলা পর্যায় থেকে কার্যকরভাবে কর আহরণের কোনো প্রস্তুতি এখন নেই।

একটি চ্যালেঞ্জিং সময়ে নানামুখী টানাপোড়েনের মধ্যে বাজেট প্রণয়ন করায় সংশ্লিষ্টদের প্রশংসা জানিয়ে খন্দকার সাখাওয়াত আলী বলেন, নাগরিকদের পক্ষ থেকে বাজেটের যে পর্যালোচনাগুলো হচ্ছে সেগুলো বাজেট চূড়ান্তকরণের আগে বিবেচনায় নিতে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App