×

অর্থনীতি

লাল ব্রিফকেস হাতে সংসদে অর্থমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২২, ০১:০৬ পিএম

২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রস্তাবের উ‌দ্দেশ্যে জাতীয় সংসদ ভবনে পৌঁছেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বাজেট ঘোষণা করবেন তিনি।

আজ বেলা সোয়া ১১টায় জাতীয় বাজেট প্রস্তাবের উদ্দেশ্যে গুলশানের বাসভবন থেকে রওনা হন। এরপর বেলা ১২টার দিকে তিনি সংসদ ভবনে গিয়ে পৌঁছেন।

টানা চতুর্থ বারের মতো আজ জাতীয় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবার তিনি ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরবেন। এটি বর্তমান সরকারের ২৩তম এবং বাংলাদেশের ৫১তম ও বর্তমান অর্থমন্ত্রীর চতুর্থ বাজেট। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে করোনা ভাইরাস পরবর্তী অর্থনীতি মোকাবিলায় নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামে হাহাকারের মধ্যেই এবার দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট আসছে। ফলে থাকছে নানা চ্যালেঞ্জ। আসন্ন অর্থবছরে সরকারের বিশাল অঙ্কের এ বাজেটে মানুষের প্রত্যাশা হচ্ছে, জিনিসপত্রের দাম যেন থাকে নাগালের মধ্যে। এছাড়া স্বস্তিতে ব্যবসা করতে চান ব্যবসায়ীরা। এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজেটে শুধু বরাদ্দ দিলেই হবে না, এটা যেন বাস্তবায়ন হয় সেদিকে বিশেষ জোর দিতে হবে। বাস্তবায়নের সময় যেন অপচয় রোধ করা হয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এবারের বাজেটে মোটা দাগে পাঁচটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান বাড়ানো, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখা, বাজেট ঘাটতি কমানো, নতুন দারিদ্র্য ঠেকানো। এর মধ্যে বর্তমান মূল্যস্ফীতিকে অর্থনীতির প্রধান চ্যালেঞ্জ মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা। তাদের পরামর্শ, সাধারণ মানুষের ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ সহনীয় পর্যায়ে রাখা কিংবা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে আগামী অর্থবছরের বাজেটের মূলনীতি হিসেবে দেখা উচিত। নতুন অর্থবছরের বাজেটে সামনের দিনগুলোর জন্য যে বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, এর আভাস দিয়েছেন খোদ অর্থমন্ত্রীও।

সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী বলেছেন, আগামী বাজেট কারো জন্য কোনো ধরনের খারাপ বার্তা বয়ে আনবে না। সবাই সন্তুষ্ট থাকবে। অর্থমন্ত্রীর আশ্বসে আগামী বাজেটে স্বস্তির খবর থাকলেও সরকারের জন্য বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি দেয়া। একই সঙ্গে বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ করা। তবে অর্থ বিভাগের দাবি, বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধের অর্থ খুব বেশি বাড়বে না। চলতি অর্থবছরের মতো থাকতে পারে।

মূলত করোনা, ইউক্রেন যুদ্ধ ও দেশীয় দুর্নীতি- এ তিনটি বিষয় সরাসরি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ঋণাত্মক চাপে ফেলেছে। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, জিডিপির ভালো প্রবৃদ্ধি সাধারণ নাগরিকদের স্বস্তি দিচ্ছে না। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাজেটকে এক বছরের সাধারণ আয়-ব্যয়ের হিসাব হিসেবে দেখলে চলবে না। বাজেট বাস্তবায়ন নীতি স্পষ্ট থাকা দরকার, আর দরকার দুর্নীতি প্রতিরোধ, অর্থ পাচার রোধ এবং প্রবৃদ্ধির সুফল যেন সবাই পায় তার জন্য নীতি নির্ধারণ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App