×

অর্থনীতি

অর্থ আত্মসাৎ মামলায় আরএসআরএম গ্রুপের এমডি মাকসুদুর গ্রেপ্তার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২২, ০৪:০২ পিএম

অর্থ আত্মসাৎ মামলায় আরএসআরএম গ্রুপের এমডি মাকসুদুর গ্রেপ্তার

আরএসআরএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুর রহমান

রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের (আরএসআরএম) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুর রহমানকে গত বুধবার রাতে রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। জানা গেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাকসুদুর রহমানের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রাত ১১টার দিকে গুলশান-২ নম্বর সেকশনের ১২২ নম্বর সড়কের বাসায় অভিযান শুরু হয়। পরে রাত ১টার দিকে তাকে আটক করা হয়। সূত্র জানায়, জনতা ব্যাংকের অন্যতম শীর্ষ ঋণখেলাপি আরএসআরএম গ্রুপের কাছে ১০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই হাজার ২০০ কোটি টাকা আটকে আছে। ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য মাকসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে জনতা ব্যাংক লিমিটেডের লালদীঘি ইস্ট কর্পোরেট শাখা। এই গ্রুপের কাছে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে জনতা ব্যাংক লালদিঘী ইস্ট কর্পোরেট শাখার। এর মধ্যে মেসার্স মডার্ন স্টিল মিলস লিমিটেডের কাছে ৪০৯ কোটি, মেসার্স রতনপুর শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজের কাছে ৩০৫ কোটি ও এসএম স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের কাছে ৫১২ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। এরআগে জানুয়ারিতে আরএসআরএম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুর রহমানের পাসপোর্ট আদালতে জমাদানের পাশাপাশি তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালত। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, মামলার রায়ে আদালত কর্তৃক মাকসুদুর রহমানকে একজন ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ২০১৯ সালে মাত্র দুই শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দিয়ে ঋণ পুনঃতফসিল করার সুযোগ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সুযোগে ঋণ পুনঃতফসিল করেছেন অনেক খেলাপি। কিন্তু সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও তা গ্রহণ করেনি আরএসআরএম গ্রুপ। মাকসুদুর রহমান মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতে ২০টি মামলা বিচারাধীন। দুইটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। সূত্রমতে, চট্টগ্রামের ইস্পাত খাতের অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠান রতনপুর গ্রুপ। ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর এ গ্রুপটির বার্ষিক টার্নওভার ছিল প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। কর্মীসংখ্যা ছিল ৮০০। প্রায় ৪০ কোটি টাকা বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় গ্রুপটির দু'টি কারখানার উৎপাদন এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App