জুরাইনে পুলিশ মারধরে পাঁচজনের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২২, ০৩:৪১ পিএম
ফাইল ছবি
রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় ট্রাফিক সার্জেন্টসহ তিন পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচজনের সাতদিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশ। বুধবার (৮ জুন) এ মামলায় গ্রেপ্তার ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
এরপর তাদের মধ্যে একজন বাদে বাকি পাঁচ আসামির সাতদিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্যামপুর থানার পরিদর্শক খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহমুদ। রিমান্ডের বিষয়ে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
গ্রেপ্তার সোহাকুল ইসলাম রনি, ইয়াসিন আরাফাত ভুইয়া, মো. শরিফ, মো. নাহিদ ও মো. রাসেলকে রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়েছে। অন্যদিকে ইয়াসিন জাহান নিশান ভূইয়াকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (৭ জুন) রাতে শ্যামপুর থানায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত সাড়ে চারশোজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন আহত ট্রাফিক সার্জেন্ট আলী হোসেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে জুরাইন রেলগেট সড়কের উল্টোদিক দিয়ে স্বামী ইয়াসিনের সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে আসছিলেন অ্যাডভোকেট নিশাত। এসময় সার্জেন্ট আলী হোসেন ও ট্রাফিক কনস্টেবল সিরাজ তাদের গতিরোধ করেন। নিশাত নিজেকে অ্যাডভোকেট পরিচয় দিয়ে সার্জেন্ট আলী হোসেনের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে ইয়াসিন মোটরসাইকেল থেকে নেমে সার্জেন্ট আলী হোসেনকে ধাক্কা দেন। এসময় অ্যাডভোকেট নিশাত চিৎকার শুরু করলে পাঠাও ও অটোচালকরা সার্জেন্ট আলী হোসেনের ওপর হামলা করেন।
খবর পেয়ে শ্যামপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) উৎপল দত্ত অপুসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে এবং ট্রাফিক বক্স ভাঙচুর করে। পরে আহত পুলিশ সার্জেন্ট আলী হোসেনসহ তিন পুলিশ সদস্যকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। এতে আহত সার্জেন্ট আলী হোসেনের হাতে ২১টি সেলাই দিতে হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় ট্রাফিক কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম ও শ্যামপুর থানার উপ-পরিদর্শক উৎপল চন্দ্র আহত হন।