×

সারাদেশ

আশঙ্কাজনকদের ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ সামন্ত লালের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২২, ০৪:১০ পিএম

সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও আগুনে আহতদের দেখতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলেন শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের প্রধান ও বিশেষজ্ঞ ডা. সামন্ত লাল সেন।

সোমবার (৬ জুন) সকালে সকালে ডা. সামান্তা লাল সেনের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ টিম চট্টগ্রামে এসে পৌঁছায়। এরপর তিনি চমেক হাসপাতালে ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া রোগীদের খোঁজ-খবর নেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি আশঙ্কাজনক ৩ রোগীকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি রোগীদেও স্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় এনে অহেতুক হাসপাতালে ভিড় না করার সবাইকে অনুরোধ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের আহত রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানালেন শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের প্রধান ও বিশেষজ্ঞ ডা. সামন্ত লাল সেন।

সোমবার বেলা ১২টার দিকে চমেক হাসপাতালের পরিচালকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সামন্ত লাল সেন বলেন, বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও তিন রোগীকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া জরুরি। দগ্ধ রোগীদের ইনফেকশন হলে কোনোভাবেই বাঁচানো যায়না। তাই আপনাদের অনুরোধ আপনারা রোগীদের দেখতে এসে অহেতুক ভিড় করবেন না।

তিনি বলেন, এই রোগীদের শরীর ফুলে যাচ্ছে। তাদের শ্বাসকষ্ট হতে পারে। সেজন্য বার্ন আইসিইউতে নিতে হতে পারে। এ কারণে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সাঁয় মিললে ঢাকায় নিয়ে যেতে চাই।

তিনি আরও বলেন, চমেক হাসপাতালে যারা দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন সেসব চিকিৎসকদের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তবে এখানে কিছু সুযোগ-সুবিধার সংকট রয়েছে। সেজন্য গুরুতর রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যেতে চাওয়া। রবিবার ১৪ জন রোগীকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের নিয়ে যাওয়া হয়। এখন আরও তিনজনকে নিয়ে যাওয়া হলে সেই সংখ্যা বেড়ে হবে ১৭ জনে।

বার্ন ইউনিটের এই প্রধান বিশেষজ্ঞ বলেন, সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি রাতে দেড়টায় আমি খবর পাই। এরপর থেকে খোঁজ খবর রাখতে শুরু করি। রবিবার প্রধানমন্ত্রী আমাকে বললেন, তুমি দেখ কী করা যায়, যাদের ঢাকায় আনতে হবে, নিয়ে আস। বাকিদের চট্টগ্রামে চিকিৎসা দাও। তুমি নিজে সেখানে যাও। রবিবার অনেককে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়া উচিত। এসব রোগীদের কীভাবে সুস্থ করা যায়, ভবিষ্যতে কি করবো এসব পরিকল্পনা ঠিক করবো। আমরা নিজেরাও কিছু নির্দেশনা নিয়ে কাজ করছি। আমরা ঢাকায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়টি জানাব।

ডা.সামান্ত লাল আরও বলেন, এখানে ভর্তি হওয়া অনেক রোগীকে ছেড়ে দেওয়া যাবে। অনেকের চোখে সমস্যা আছে। এখানকার চক্ষুবিশেষজ্ঞ দিয়ে ফলোআপ চিকিৎসা দেওয়া গেলে আস্তে আস্তে তারা সুস্থ হয়ে যাবে। একজনের ছোট বার্ন বড় হয়ে যেতে পারে ইনফেকশনের কারণে। আমি আশা করবো আপনারা বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। এখানে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবের পরও চিকিৎসকরা ভালো চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। ঢাকায় ভর্তি হওয়া রোগীদের অবস্থা ভালো না। সব কিছু বিবেচনায় এনে আমাদের পরিকল্পনা করতে হচ্ছে।

এসময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগে দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, চমেক হাসপাতালের পরিচালক মো. শামিম আহসান ছাড়াও বার্ন ইউনিটের চিকিৎকরা উপস্থিত ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App