×

অর্থনীতি

তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২২, ০৭:০৫ পিএম

নানা আলোচনার মধ্যে গত তিন মাসে খেলাপি ঋণ বাড়ল আরও ১০ হাজার কোটি টাকা। সব মিলিয়ে মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ১৩ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা। রবিবার (৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে থেকে এ তথ্য জানা যায়।

২০২০ ও ২০২১ সাল জুড়ে কয়েক দফায় করোনার কারণে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে কোনো ঋণ পরিশোধ না করে কিংবা সামান্য পরিশোধ করে খেলাপিমুক্ত থাকার সুযোগ ছিল। এ ধরনের বিভিন্ন সুবিধার বেশিরভাগই শেষ হয়েছে গত ডিসেম্বরে। এর পরপরই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ব্যাপকভাবে।

মার্চে এসে মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ২৯ হাজার ৭৩৬ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বরে যা ছিল ১৩ লাখ এক হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ বেড়েছে ১০ হাজার ১৬৭ কোটি ৮ লাখ টাকা। এই তিন মাসে ঋণ স্থিতি বেড়েছে ২৭ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা।

কেবল টাকার অঙ্কে নয়, খেলাপি বেড়েছে শতকরা হিসেবেও। সব মিলিয়ে মার্চ শেষে বিতরণ করা ঋণের ৮.৫৩ শতাংশ খেলাপি হয়ে গেছে। গত ডিসেম্বর শেষে বিতরণ করা ঋণের ৭.৯৩ ছিল খেলাপি। অর্থাৎ শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ খেলাপি ঋণ বেড়েছে তিন মাসে।

২০২০ সাল থেকে দফায়-দফায় খেলাপিমুক্ত থাকার সুবিধা বাড়ানো হয়। এখন অনেকের ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো গেলেও এক শ্রেণির ব্যবসায়ী ঋণ শোধ করছেন না। ব্যাংকগুলো নানা উপায়ে চেষ্টা করেও তাদের থেকে টাকা আদায় করতে পারছে না। ২০২১ সালে ঋণের ১৫ শতাংশ পরিশোধ হলেও তা নিয়মিত দেখানো হয়। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কেউ এ হারে টাকা দিলেও ব্যাক ডেটেও নিয়মিত থাকার সুযোগ দেয়া হয়েছে।

এর আগে ২০২০ সালে এক টাকা না দিলেও কেউ খেলাপি হয়নি। বিশ্বব্যাপী করোনার প্রভাব শুরুর পর ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত প্রথমে এ সুবিধা দেয়া হয়। পরে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে সময় বাড়িয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বর করা হয়।

২০২১ সালের শুরুতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ঋণ পরিশোধ না করে খেলাপিমুক্ত থাকার সুবিধা আর বাড়বে না। তবে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ক্ষতির মুখে পড়ার কথা বলে এরই মধ্যে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত কেউ ঋণ পরিশোধ না করলেও খেলাপি না করার দাবি জানিয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App