ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও ৯০ পয়সা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (২ জুন) এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এখন প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ৮৯ টাকা ৯০ পয়সায় রাষ্ট্রমালিকানাধীন ও বেসরকারি খাতের চারটি ব্যাংকের কাছে ১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয়েছে। সরকারি আমদানি বিল মেটাতে ব্যাংকগুলোর কাছে এ ডলার বিক্রি করা হয়।

টাকার মান কমে যাওয়ার প্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, টাকার মান আরেক দফা অবমূল্যায়নের ফলে আমদানির খরচ আরও বাড়বে। অন্যদিকে লাভবান হবেন রপ্তানিকারকরা। সাধারণত রপ্তানিকারকদের সুবিধা দিতেই স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হয়। তবে এখন বাংলাদেশকে এই পথে যেতে হচ্ছে বাধ্য হয়ে।

আমদানি পণ্যের দাম ও জাহাজভাড়া বেড়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যে আমদানি ব্যয় প্রায় ৪৪ শতাংশ বেড়েছে। রপ্তানি ও প্রবাসী আয় দিয়ে সেই খরচ মেটানো সম্ভব নয়। এর ফলে সৃষ্টি হয়েছে ডলার সংকট। সংকট নিরসনে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতেই ডলারের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।

এর আগে আজ বৃহস্পতিবার ডলারের এক দাম থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে দেশের সব বেসরকারি ব্যাংকের হাতে ডলারের ডলারের দাম নির্ধারণের এখতিয়ার চলে যায়। প্রবাসী আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

আরও পড়ুন : ডলারের এক দাম থেকে সরে দাঁড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক

গত ২৯ মে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে। সে সময় ডলারের বিপরীতে টাকার মান এক ধাক্কাতেই এক টাকা ১০ পয়সা কমিয়ে আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ৮৯ টাকা করা হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, রোববার প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে এ পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।

সোমবার থেকে আন্তঃব্যাংক লেনদেন ৮৯ টাকার হার কার্যকর হবে বলেও সেসময় জানিয়েছিলেন তিনি। চাহিদা সংকটে ঊর্ধ্বমুখী ডলারের দামের অস্থিরতা কমাতে বেশ কিছু দিন থেকেই টাকার মান অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। এ নিয়ে পঞ্চম দফায় ডলারের দাম বাড়ানো হল।