ডলারের এক দাম থেকে সরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রবাসী আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এই এখতিয়ার দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জুন) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়। বলা হয় বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ব্যাংকগুলো নিজেরাই ডলারের দাম নির্ধারণ করতে পারবে। তবে হঠাৎ যেন ডলারের দাম বেশি বাড়িয়ে না ফেলা হয়, সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে ব্যাংকগুলোকে। পাশাপাশি বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো যাতে দাম বেশি বাড়াতে না পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।

ডলারের এক দাম থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকের মাধ্যমে তথা বৈধপথে প্রবাসী আয় কমে যাচ্ছে। এ জন্য প্রবাসী আয় আনার ক্ষেত্রে ডলারের কোনো নির্দিষ্ট দাম থাকছে না। ব্যাংকগুলো বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ও চাহিদা বিবেচনায় ডলারের দাম ঠিক করবে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।

প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম বাজারমূল্যে নির্ধারণ হওয়ায় আমদানিতেও একইভাবে ডলারের দাম নির্ধারণ করা হবে। পাশাপাশি রপ্তানি আয় নগদায়ন হবে বাজারমূল্যে। ব্যাংকগুলো যে দামে ডলার কিনবে, বিক্রি করবে তার চেয়ে কিছু বেশি দামে।

ডলারের দাম বাড়তে থাকায় গত রবিবার দাম বেঁধে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রবাসী আয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর জন্য ডলারের দাম বেঁধে দেয়া হয়েছিল ৮৯ টাকা ২০ পয়সা। এ দাম নির্ধারণের পর কমে গেছে প্রবাসী আয়।

আরও পড়ুন : ডলারের এক রেট ৮৯ টাকা নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক

রপ্তানিকারকেরাও বেঁধে দেয়া দামে রপ্তানি বিল নগদায়ন করছেন না। এতে আমদানি বিল মেটাতে গিয়ে বুধবার সংকটে পড়ে বেসরকারি খাতের কয়েকটি ব্যাংক।

এমন পরিস্থিতিতে বুধবার সন্ধ্যা সাতটায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন এ সময় বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। তাতেই ডলারের এক দাম থেকে সরে আসার বিষয়ে একমত পোষণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।