×

জাতীয়

আঙ্গোরে নদী ভাঙন থেকে বাঁচান, ৩০ হাজার পরিবারের আকুতি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২২, ০৯:২০ পিএম

আঙ্গোরে নদী ভাঙন থেকে বাঁচান, ৩০ হাজার পরিবারের আকুতি

বৃহস্পতিবার বিকেলে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার সোলেমান বাজারের সৈয়দপুর এলাকায় ভাঙন কবলিত এলাকায় সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিমের কাছে নদী ভাঙন থেকে বাঁচার আকুতি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: ভোরের কাগজ

আঙ্গোরে নদী ভাঙন থেকে বাঁচান, ৩০ হাজার পরিবারের আকুতি

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার সোলেমান বাজারের সৈয়দপুর এলাকায় ভাঙন কবলিত এলাকা। ছবি: ভোরের কাগজ

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার আমিন বাজার থেকে জনতা ঘাট পর্যন্ত মেঘনা নদীর তীব্র ভাঙনে গত ১২ বছরে ৩০ হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি, ভিটেমাটি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসা, হাট-বাজারসহ কৃষিজমি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের কবলে সর্বোচ্চ হারিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন অসহায় পরিবারের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিকেলে উপজেলার সোলেমান বাজারের সৈয়দপুর এলাকায় ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম। এ সময় নদী ভাঙনের শিকার অসহায় মানুষেরা আকুতি জানিয়ে বলেন, আঙ্গোরে নদী ভাঙনের হাত থেকে বাঁচান, নদীয়ে দুই-তিন বার করি আঙ্গো ঘরবাড়ি ভাঙ্গি লই গেছে। এখন আবার ভাঙলে আমরা কোনাই যামু, কার কাছে যামু? আঙ্গো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারে কয় (বলে) পাথরের ব্লক ও জিও ব্যাগ দিই নদীর ভাঙন বন্ধ করেন।

[caption id="attachment_352413" align="aligncenter" width="700"] নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার সোলেমান বাজারের সৈয়দপুর এলাকায় ভাঙন কবলিত এলাকা। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

এ সময় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. বাহার চৌধুরী, চরক্লার্ক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. সাহাব উদ্দিন, ইউপি সদস্য মাহে আলম, সামছুল আলম বাহারসহ ভাঙন কবলিত এলাকার শত শত বাসিন্দা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ভাঙন রোধে বিগত কয়েক বছর পর্যন্ত নানা প্রতিশ্রুতি পেলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। এমপি-মন্ত্রীর নিয়মিত প্রতিশ্রুতি হতাশার অতল গহ্বরে তাদের নিয়ে যাচ্ছে।

চরক্লার্ক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, ২০১০ সাল থেকে মেঘনা নদীর এই ভাঙন শুরু হয়। গত ১২ বছরে প্রায় আট কিলোমিটার এলাকা ভাঙনের শিকার হয়ে প্রায় ৩০ হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখনও হাজার হাজার পরিবার ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে। অনতিবিলম্বে নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিলে সুবর্ণচর ও স্বর্ণদ্বীপ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম বলেন, এখানে বিস্তীর্ণ এলাকা নদী ভাঙনের কারণে হাজার হাজার মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে সর্বহারা হয়ে গেছে। আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এ অবস্থায় এখানে যদি নদীশাসন করা না হয়, তাহলে সহায়-সম্বলহীন মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App