আরএআইএমএস না করলে রিক্রুটিং এজেন্সির সেবা বন্ধ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ জুন ২০২২, ০৫:২৫ পিএম
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)
দেশের সকল রিক্রুটিং এজেন্সিকে রিক্রুটিং এজেন্সি ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আরএআইএমএস) এ নিজেদের তথ্য দেয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)। আগামী ৭ জুনের মধ্যে যেসব রিক্রুটিং এজেন্সি তাদের যাবতীয় তথ্য আরএআইএমএস এর অন্তর্ভুক্ত করবে না তারা ৮ জুন থেকে কোনো ধরনের সেবা পাবে না। এর আগে কয়েকবার তাগাদা দেয়া হলে অধিকাংশ এজেন্সি তাতে সাড়া না দেয়ায় কঠোর হতে যাচ্ছে বিএমইটি।
বিএমইটি মহাপরিচালক শহীদুল আলম এনডিসি বুধবার (১ জুন) জানান, আরএআইএমএস ডিজিটাল প্রক্রিয়ার একটি অংশ। এর মাধ্যমে কোন প্রতিষ্ঠান কতজন লোক পাঠালো, তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড কি সবকিছু আপডেট থাকবে। এতে মানুষের ভোগান্তি ও হয়রানির প্রবনতা পর্যায়ক্রমে কমে আসবে। নিয়ম অনুুসরণ করে কর্মী যেতে পারবে। রিক্রুটিং এজেন্সি তাদের তথ্য দেয়ার পর বিএমইটি তা খতিয়ে দেখবে। সেখানে কোনো তথ্য গোপন করা হলে তা সংশোধন করে সংযোজন করা হবে। এক হাজার ৬১১টি এজেন্সির মধ্যে এ পর্যন্ত ৩৫০ এজেন্সি আরএআইএমএস সম্পন্ন করেছে। যারা এখনো করেনি তারা ৭ জুনের পর থেকে অটোমেশন সিস্টেমের কারণে তারা এমনিতেই কোনো সেবা পাবে না।
জানা গেছে, অনেক রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে মানবপাচার, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেছে। টাকা নিয়ে লোকজনকে ঘুরানো, কাজ ঠিক না করে বিদেশে পাঠায়ে অনিশ্চয়তায় ঠেলে দেয়ার অভিযোগ পুরানো। এদের কারণে বিদেশেও দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ অবস্থায় যেসব রিক্রুটিং এজেন্সি অনিয়মে জড়িত তাদের ব্যাপারে লোকজনকে সতর্ক করতে আরএআইএমএস কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। বিএমইটি মহাপরিচালক বলেন, করোনার পর গত এক বছরে ৯ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানো সম্ভব হয়েছে। রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকদের সহয়তা ছিলো বলেই এই সফলতা এসেছে। তিনি বলেন, যেসকল রিক্রুটিং এজেন্সি সিকিউরিটি মানি থেকে সাড়ে ৮ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিল তারা সেই টাকা ফেরত না দিলে ব্যবস্থা নেবে বলে প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিএমইটিকে জানিয়েছে।