ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করে সব ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিতের দাবিতে প্রক্টরিয়াল বডির দায়িত্বশীল হয়ে কোনো বিশেষ ছাত্র সংগঠনের মুখপাত্র হয়ে কাজ না করার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।

বুধবার (১ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের দাবিতে মানববন্ধনে এ আহ্বান জানানো হয়।

সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তরা ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, সম্প্রতি ক্যাম্পাসে যেসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ও হামলার ঘটনা ঘটেছে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো কার্যকর ভূমিকা দেখা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সরকার সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের পক্ষে ভূমিকা পালন করেছে। অন্যদিকে, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রক্টর যেন আওয়ামী লীগের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।

মানববন্ধনে অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ক্যাম্পাসের এই চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উপাচার্যের সঙ্গে একাধিকবার সাক্ষাৎ করেছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারের কাছে গত কয়েকদিন ধরে ক্যাম্পাসে চলমান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করে শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখার দাবি জানিয়ে আসছি। সেই সঙ্গে তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

বক্তব্য রাখার একপর্যায়ে প্রক্টরিয়াল বডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অধ্যাপক লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রক্টরিয়াল বডি ও প্রক্টর দায়িত্বশীল হয়ে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। কোনো বিশেষ ছাত্র সংগঠনের মুখপাত্র হয়ে কাজ করবেন না।

মানববন্ধনে ছাত্রনেত্রীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা জানিয়ে ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসে এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো কার্যকর ভূমিকা পালন করেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।

এ সময় সাদা দলের সদস্য অধ্যাপক মামুন বলেন, ক্যাম্পাসে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো কার্যকর ভূমিকা পালন করেনি। যেটুকু করেছে তাও সরকার সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের পক্ষে ভূমিকা পালন করেছে। এসব ঘটনায় দেখা যায়, যেসব শিক্ষার্থী হামলার শিকার হয়েছে তাদের ওপরই মামলা দেয়া হয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে অন্যদের মতো ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিজ্ঞান অনুষদের সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক এমরান কাইয়ুম, কলা অনুষদের আহ্বায়ক মো. আল আমিনসহ সংগঠটির বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।