ডিসেম্বরেই আওয়ামী লীগের সম্মেলন, জানালেন শেখ হাসিনা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ জুন ২০২২, ০৫:৪৪ পিএম
ফাইল ছবি
বুধবার বিকেলে গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় বক্তব্য রাখেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ভোরের কাগজ
বুধবার বিকেলে গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় বক্তব্য রাখেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ভোরের কাগজ
ডিসেম্বরের মধ্যেই আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন আয়োজনের কথা জানালেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার বিকেলে গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের থিং ট্যাঙ্ক উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ কথা জানান তিনি। এজন্য এখন থেকে তৃণমূল থেকে দলকে ঢেলে সাজানোর কথা বলেন দলীয় প্রধান।
বুধবার (১ জুন) বিকেল সাড়ে ৪ টায় শুরু হয় উপদেষ্টা পরিষদের সভা। ২১তম জাতীয় সম্মেলনের পর শুধুমাত্র উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে এটিই প্রথম সভা। সভার শুরুতেই জাতীর পিতা, জাতীয় চার নেতা, ১৫ আগস্টের শহিদ ও প্রয়াত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সেই সঙ্গে তাদের সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা প্রতিটি নির্বাচনের আগে যে ইশতেহার ঘোষণা দেই। নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে সেটা কিন্তু আমরা ভুলে যাই না। প্রতিবার বাজেট ঘোষণার সময় সেই ইশতেহার হাতে নিয়ে কতটুকু অর্জন করতে পারলাম, কতটুকু আমাদের সামনে করতে হবে সেগুলো বিবেচনা করে সেভাবেই বাজেট করি। শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমরা যে উন্নয়ন করছি। তা কিন্তু একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করেছি। যার কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থা দুঃখজনক ছিল। কারণ তখন জনগণের হাতে ক্ষমতা ছিল না। ক্ষমতা চলে গিয়েছিল সেই মিলিটারি ডিকটেটরদের হাতে। তারা উর্দূ পড়ে ক্ষমতা দখল করত। যার ফলে দেশের উন্নয়ন না করে তারা নিজেদের উন্নয়ন কীভাবে করা যায়, সেটা নিয়েই কাজ করতেন। এ পর্যন্ত ১৯ থেকে ২০টা ক্যু হয়েছে। এক সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল। সেশন জট ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে পদ্মাসেতু হয়ে গেছে। আর কয়েকদিন পরই যান চলাচলের জন্য সেটা খুলে দেয়া হবে। আপনারা জানেন, এই পদ্মা সেতু করাটা আমাদের জন্য একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল। আমাদের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। আমরা চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। তারা দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারেনি। কানাডার আদালত রায় দিল, যে সবচ অভিযোগ ভুয়া ও মিথ্যা। আর এই অর্থায়ন বন্ধের জন্য কাজ করেছে ড. ইউনূস। বিশ্বব্যাংক তার কথায় এটি বন্ধ করে দেয়। গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদ না পাওয়ায় এই ষড়যন্ত্র করেছেন তিনি। অথচ তার বয়স ছিল ৭১ বছর। একটা ব্যাংকের এমডি এই বয়স পর্যন্ত থাকার কোনো নিয়ম নাই। কিন্তু তিনি থাকতে চান। আদালতে গেছেন। আদালত তার পক্ষে রায় দেননি। তিনি হেরে গেছেন। কাজেই এটুকু বলব, যে সততা ছিল বলেই এই চ্যালেঞ্জ আমরা নিতে পেরেছি। যার কারণে নিজেদের অর্থে আমরা সেই সেতু করেছি। আমরা যে পারি, সেটা আমরা করিয়ে দেখিয়েছি। আজে দেশের ৯০ ভাগ উন্নয়ন আমরা নিজস্ব অর্থায়নে করছি। বাংলাদেশ আজ বদলে গেছে।