×

সাহিত্য

শিল্পকলায় বঙ্গবন্ধু ও রূপসী বাংলা আলোকচিত্র প্রদর্শনী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২২, ০৯:১১ পিএম

শিল্পকলায় বঙ্গবন্ধু ও রূপসী বাংলা আলোকচিত্র প্রদর্শনী

মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় জাতীয় চিত্রশালায় বঙ্গবন্ধুর শত ছবি ও দেশের রূপবৈচিত্রের শত আলোকচিত্রের প্রদশনী উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: ভোরের কাগজ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শত ছবি ও বাংলাদেশের রূপবৈচিত্রের একশ ছবি নিয়ে জাতীয় চিত্রশালার ৩ নম্বর গ্যালারিতে শুরু হয়েছে আলোকচিত্র প্রদর্শনী।

মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় চিত্রশালা মিলনায়নে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর শতছবি নিয়ে ‘বিশ্ববন্ধু বঙ্গবন্ধু’ ও রূপবৈচিত্রের একশ ছবি নিয়ে ‘রূপসী বাংলা’ নামে দুটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন ও শিল্পকলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে নির্বাচিত আলোকচিত্রীদের মধ্য থেকে তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়। একজন আলোকচিত্রী পান ‘জাজেস স্পেশাল এ্যাওয়ার্ড’। এছাড়া প্রয়াত ফটো সাংবাদিক মোহাম্মদ আলম, রশিদ তালুকদার ও মানু মুন্সীর পরিবারের হাতে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেয়া হয়। বরেণ্য সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে এ বি এম রফিকুর রহমান, ওয়াসে আনসারি ও জালালউদ্দিন হায়দারকে দেয়া হয় বিশেষ সম্মাননা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ বলেন, ফটোসাংবাদিকরা অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। যুদ্ধ ও সংগ্রামে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা ছবি তুলেন। এইসব ছবিই ইতিহাসকে সংরক্ষণ করে। রূপসী বাংলার প্রতিভূ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাংবাদিকদের বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতেন। নিজে সবসময় তাঁদের খোঁজখবর নিতেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যাও তাই করছেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, আমাদের ভাষা আন্দোলন থেকে নিয়ে একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন আলোকচিত্রী সাংবাদিকরা। অনেক ঘটনার ছবি নেই বলে তা ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণ করা মুশকিল হয়ে পড়ে।

শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

এসময় শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, সময়ে ক্যামেরা রাইফেলের ভূমিকা পালন করে। এই ক্যামেরার নান্দনিক ক্লিকই আবার আমাদের নন্দিত করে, মোহিত করে। ক্যামেরা ছিল না বলে আমাদের ইতিহাসের অনেক দলিল হারিয়ে গেছে।

রূপসী বাংলা আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে ছিলেন মনজুরুল আহসান বুলবুল, ফিরোজ চৌধুরী ও আক্কাস মাহমুদ। ৬৯৩টি আলোকচিত্রের মধ্য থেকে তিনটি আলোকচিত্রকে তাঁরা পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করেন। প্রতিযোগিতায় প্রথমস্থান দখল করে বিজয়ী হয়েছেন মুহাম্মদ পনির হোসাইন। তাঁর তোলা ছবিতে দেখা যায় সবুজ ঘাসের উপর কারখানার লাল কাপড় শুকাচ্ছেন একজন শ্রমিক, যার নিজের গায়েও রয়েছে লাল রঙের জামা।

প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় বিজয়ী আলোকচিত্রী হয়েছেন দৈনিক ইত্তেফাকের শামসুল হায়দার বাদশাহ। তৃতীয় স্থান দখল করেছেন দৈনিক সমকালের মো. সাজ্জাদ মাহমুদ নয়ন।

আলোচনা, পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান শেষে শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা সমবেত নৃত্যের মাধ্যমে কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ পরিবেশনা করেন। আগামী ৬ জুন পর্যন্ত আলোকচিত্র প্রদর্শনীটি চলবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App