×

স্বাস্থ্য

মাঙ্কিপক্স নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, প্রয়োজন সচেতনতা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২২, ১২:১৬ পিএম

মাঙ্কিপক্স নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, প্রয়োজন সচেতনতা

শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের ডা. মিলন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে মাঙ্কিপক্সের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বক্তারা। ছবি: ভোরের কাগজ

মাঙ্কিপক্স নিয়ে এখনও আমাদের দেশের মানুষের আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। তবে এর জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি ও সচেতনতার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

শনিবার (২৮ মে) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ডা. মিলন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বক্তারা মাঙ্কিপক্সের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শফিকুল আলম চৌধুরী, হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. দেবেশ চন্দ্র তালকদার, বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক নার্সসহ আরও অনেকে।

অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা বলেন, আমাদের এখনই পেনিক (আতঙ্ক) হওয়ার দরকার নেই। বহির্বিশ্বের কিছু দেশের মানুষের শরীরে এটি শনাক্ত হলেও আমাদের দেশে এটি এখনও আসেনি। তবে আমাদের মন্ত্রণালায় সহ স্বাস্থ্য সেক্টরগুলো প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের আইইডিসিআরও প্রস্তুত রয়েছে। সেখানেও পিসিআর টেস্ট করা যাবে।

তিনি বলেন, আমাদের সচেতন থাকতে হবে। আর স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে কারও দেহে এটি সনাক্ত হলে চিকিৎসার পাশাপাশি ৫-২১ দিনে কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে থাকতে হবে। মাঙ্কিপক্সের জন্য আমাদের আলাদা করে এখনও কোনো গাইড লাইন দেয়া হয়নি। তবে বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা আছে, আমরা তা অনুসরণ করতে পারি।

তিনি বলেন, আমরা যারা ছোটবেলাতে স্মল পক্সের টিকা নিয়েছি তাদের খুশি হবার কারণ নেই। নতুন এই ভাইরাসে আমরাও আক্রান্ত হতে পারি। গর্ভবতী নারী, ছোট শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তিদেরকে আরও সতর্কভাবে রাখতে হবে।

অধ্যাপক ডা. দেবেশ চন্দ্র তালুকদার বলেন, মাঙ্কিপক্স নিয়ে আমাদের দেশে আজকে এটি তৃতীয় সেমিনার। আমরা এখনও জানি না এটি আমাদের দেশে আসলে কতটা ভয়াবহতা নিয়ে আসবে। তবে আমরা কোভিড ১৯, চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গুর মোকাবেলা করেছি। তবে তা থেকে আমরা ওভারকাম করেছি। মাঙ্কিপক্সও যেই ফর্মেই বা ভেরিয়েশনেই আসুক আমরা এর মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত আছি।

হাসপাতলটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, আজকে এই সভার উদ্দেশ্য সচেতনতা তৈরি করা।

হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আউট ডোর, মেডিসিন বা অন্য কোনো বিভাগে এমন লক্ষণ নিয়ে কোনো রোগী আসলে আমরা যেনো সচেতন থাকি, যাতে সঙ্গে সঙ্গে সেটি সনাক্ত করতে পারি। পরবর্তিতে ওই রোগীকে যেনো অন্য কোথাও গিয়ে এটি সনাক্ত করতে না হয়। হজ্জ্বের পর হাজ্জ্বিরা দেশে ফিরলে তাদেরকেও পরীক্ষা করাতে হবে। আবার আসন্ন ঈদেও বর্ডার দিয়ে বিভিন্ন গবাদি পশু আমাদের দেশে আসবে। সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোনো পশুর মাধ্যমে এটি ছড়িয়ে না পরে।

সভার বক্তারা মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণের ধরন, মাধ্যম সম্পর্কে আলোচনা করেন। ঢাকা মেডিকেলেও পিসিআর রয়েছে। সেখানেও প্রয়োজনীয় সামাগ্রী সরবাহর করলে এই টেস্ট করানো সম্ভব বলে জানান তারা। এই ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ঝুকিতে পড়তে হয় নবজাতক ও ছোটছোট শিশুদের।

সাধারন স্বাস্থ্য সুরক্ষার মতো সবাইকে মাস্ক পড়ে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এছাড়া সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, হাত স্যানিটাইজার করার পরামর্শ তাদের।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App