×

মুক্তচিন্তা

বাংলাদেশ কনসার্ট ১৯৭১

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২২, ০১:২৭ এএম

ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্ট ১৯৭১-এর স্মৃতি সামনে নিয়ে এলো। সংক্ষেপে সেই কাহিনীই তুলে ধরা হচ্ছে : জর্র্জ হ্যারিসন পণ্ডিত রবিশঙ্করকে বললেন, ‘তুমি যদি চাও আমি জড়াই, তাহলে বরং আমি ভালোভাবেই জড়াতে চাই।’ জর্জ হ্যারিসন কেবল নিজেকেই জড়ালেন না, জড়িয়ে নিলেন তখনকার সেলিব্রিটি ও ক্রেইজ বব ডিলান, এরিক ক্ল্যাপটন, বিলি প্রেস্টন, রিঙ্গো স্টার ও লিওন রাসেলকে। মৌন সাড়া দিয়েও পারিবারিক দ্ব›েদ্বর কারণে নিউইয়র্ক ছাড়তে হলো জন লেননকে। আর রবিশঙ্করের সঙ্গে ওস্তাদ আলী আকবর খান এবং ওস্তাদ আল্লা রাখা থাকবেনই, সব মিলিয়ে শ্রেষ্ঠদেরই সমাবেশ ঘটবে। বাংলাদেশ তখন স্বাধীনতার লড়াইয়ে জীবনবাজি রেখেছে। লাখো মৃত্যুর উপত্যকা মাড়িয়ে ততদিনে অন্তত সত্তর লাখ শরণার্থী ভারতে মানবেতর জীবনযাপন করছে, মৃত্যুর কাছে অসহায় অবস্থায় ধরাশায়ী হচ্ছে। ক’মাস আগে সত্তরের প্রলয়ঙ্করী জলোচ্ছ¡াসে পাঁচ লাখ মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। তখনকার পূর্ব পাকিস্তান সাতচল্লিশ পূর্ব অখণ্ড বাংলার পূর্বাঞ্চল পূর্ব বাংলা রবিশঙ্করের পিতৃভূমি, আলী আকবর খানেরও তাই। রবিশঙ্কর জলোচ্ছ¡াসের পর থেকেই তার পিতৃভূমির বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াবার জন্য তাদের যতটা সম্ভব সাহায্য করার একটি সুযোগ সৃষ্টি করতে চাচ্ছিলেন। এর মধ্যেই স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। পূর্ব বাংলার সঙ্গে তার যে আবেগময় সম্পর্ক জর্জ হ্যারিসনের তা থাকার কোনো কারণ নেই। কিন্তু রবিশঙ্কর যা চাইছেন তিনিই তা চাইবেন না কেন? রবিশঙ্কর তার মেন্টর এবং প্রত্যক্ষভাবে সেতারগুরু। বিটলসের হয়ে গান গাইবার সময় তিনি রক অ্যান্ড রোল-এ সেতার সঙ্গত করে গান গেয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি সেতার ধরে রাখতে পারেননি। হাতে সময় তেমন নেই, তবুও জর্জ হ্যারিসনই দায়িত্বটা নিয়ে নিলেন। বাংলাদেশের জন্য কনসার্ট করবেন। টিকেট বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যয় হবে বাংলাদেশের দুর্গত মানুষের জন্য। পঁচিশ হাজার ডলার হলেই বা কম কি। রবিশঙ্কর তাই হিসাব কষে ছিলেন। জর্জ হ্যারিসনের হিসাব ভিন্ন। তিনি শ্রেষ্ঠ সমাগম ঘটাবেন। তার আগে ষাটের দশকে দুনিয়া মাতানো বিটলসদের কথা স্মরণ করতে হয়। জন লেনন, পল ম্যাককার্টনি, জর্জ হ্যারিসন আর রিঙ্গো স্টার এই চারজনের দল বিটলসে ভাঙনের ঘণ্টা বাজে ঊনসত্তরের শেষের দিকে দলের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় পল ম্যাককার্টনির দ্বিমত দিয়ে। সত্তরের ২০ আগস্ট এই চারজন শেষবারের মতো একত্রে গান রেকর্ড করতে স্টুডিওতে আসেন, ২৯ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয় তাদের শেষ কমার্শিয়াল কনসার্ট। জন লেনন ও পল ম্যাককার্টনির সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। ২০ সেপ্টেম্বর জন লেনন বিটলস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানান। চারজনের পার্টনারশিপ ৩১ ডিসেম্বর ১৯৭০-এর মধ্যে ভেঙে দেয়ার জন্য ম্যাককার্টনি আদালতের শরণাপন্ন হন। সত্তরেই চারজনের সলো অ্যালবাম বের হলো। জর্জ হ্যারিসন ও রিঙ্গো স্টার একত্রে থাকলেও বিটলস ভেঙে গেল- ভেঙে খান খান হয়ে গেল লাখ লাখ ভক্ত তরুণ-তরুণীর হৃদয়। বৃহৎ মঞ্চে চারজন আবার একত্রিত হওয়া যায় কিনা রবিশঙ্করের প্রস্তাব শুনে জর্জ হ্যারিসন ভেবে থাকবেন। জন লেননকে শুরুতে সম্মত মনে হলেও অপারগতা জানিয়ে কনসার্টের এক সপ্তাহ আগে নিউইয়র্ক ছাড়লেন। পল ম্যাককার্টনি শুরুতেই না বলে দিলেন। ম্যাককার্টনি নিজেকে এতটাই দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন যে জন লেনন ১৯৮০ সালে আততায়ীর হাতে নিহত হলে জর্জ হ্যারিসন ও রিঙ্গো স্টার শেষ কৃত্যে যোগ দিয়েছিলেন; কিন্তু পল ম্যাককার্টনি তার যাওয়াটাকে হিপোক্রিসি আখ্যা দিয়ে নিজেকে নিরস্ত রাখেন। জর্জ হ্যারিসন দমলেন না। তিনি মঞ্চ মাতানো শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন। কেউ কেউ পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি বাদ দিয়ে জর্জ হ্যারিসনের আহ্বানে সাড়া দিলেন। উপস্থিতি নিশ্চিত করলেন রিঙ্গো স্টার, এরিক ক্ল্যাপটন, লিয়ন রাসেল, বিলি প্রেস্টন, জিম কেল্টনার ও ব্যাডফিঙ্গার ব্যান্ড। ১৯৭১-এর গোড়ার দিকে ফ্লায়ার পার্কের এক ডিনারে রবিশঙ্কর কনসার্টের প্রস্তাবটি দেন বলে সহশিল্পী ক্লস ভুরম্যান তার স্মৃতিচারণায় উল্লেখ করেন। আর জর্জ হ্যারিসন নিজে বললেন, রবির সঙ্গে আমার সম্পর্কের কারণেই কনসার্ট ফর বাংলাদেশ হয়েছে। আমিও এই অনুষ্ঠানের জন্য নিয়োগ করতে শুরু করে দিই। কনসার্ট হবে এটা চূড়ান্ত হওয়ার পর হ্যারিসন তার স্ত্রী প্যাটি বয়েডের সঙ্গে আলোচনা করে অংশগ্রহণকারী শিল্পীর যে তালিকা তৈরি করলেন তার মধ্যে জন লেনন এবং ক্লস ভুরম্যানও ছিলেন। গীতিবাদ্য ব্যবসায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ক্রিস ও’ডেলকে স্থানীয় ব্যবস্থাপনার জন্য নিয়োগ দিলেন। নিকলস ক্যানিয়নে হ্যারিসনের ভাড়া করা বাড়ি হয়ে উঠল ও’ডেলের সাময়িক দপ্তর, তিনি স্থানীয় শিল্পী ও বাদকদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করলেন। জর্জ হ্যারিসন দূরপাল্লার টেলিফোনে জন লেননের উপস্থিতির প্রত্যাশা করলেন। মেমফিসের শিল্পী ডন নিক্সের সঙ্গে নৌকায় এক বেলা কাটিয়ে তাকে রাজি করালেন, তিনি দোহার গায়কদের সংগঠিত করার দায়িত্ব নিলেন। ভারতীয় একজন ক্ষণগণনাকারী হিসাব করে বললেন আগস্টের প্রথম দিকটাই হবে কনসার্টের জন্য সুসময়। ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনই হবে কনসার্টের উপযুক্ত ভেন্যু। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অনুষ্ঠানগুলোর ভেন্যু পেতে এখানেই বেশি চাপ। একটি মাত্র দিন খালি পাওয়া- ১ আগস্ট ১৯৭১ রবিবার। ১ আগস্টই পৃথিবী জেনে যাবে বাংলাদেশ নাম। জর্জ হ্যারিসন চলে গেলেন লস অ্যাঞ্জেলেস, সেখানকার একটি স্টুডিওতে রেকর্ড করাবেন তার লেখা, তার গাওয়া এই অনুষ্ঠান ও বাংলাদেশ নিয়ে একটি গান; চোখ ভরা বিষণ্নতা নিয়ে আমার বন্ধু আমার কাছে এলো/বলল, তার দেশটির মৃত্যুর আগে আমার সাহায্য চায়। এর আগে রবিশঙ্কর বাংলাদেশ বেনেফিট ‘জয় বাংলা’ নামে রেকর্ড করিয়েছেন। সদ্য প্রতিষ্ঠিত জর্জ হ্যারিসন রবিশঙ্কর স্পেশাল ইমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ড লাভের সব টাকা পাবে বাংলাদেশ আর তা বিতরণের দায়িত্বে থাকবে ইউনিসেফ। রবিশঙ্করের জয় বাংলায় পূর্ব বাংলায় জন্ম নেয়া আলী আকবর খান সরোদ বাজিয়েছেন, আর তবলায় ছিলেন খ্যাতিমান আল্লা রাখা। জর্জ হ্যারিসনের বাংলা দেশ (তখন বাংলাদেশ এভাবেই লেখা হতো) কনসার্টের বিজ্ঞপ্তি নিউইয়র্ক টাইসের শেষ পৃষ্ঠায় ছাপা হতেই, সেদিনই সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেল। নিকোলাস শ্যাফনার লিখলেন, চাহিদা এতটাই বেশি যে একই দিনে সেকেন্ড শোর ঘোষণা দিতে হলো। বিটলসের জন লেনন আর পল ম্যাককার্টনি বাংলাদেশের সৃষ্টিলগ্নে একটি ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন থেকে বাস্তবিকই বঞ্চিত হলেন। অন্যদিকে বিটলস চারের একজন রিঙ্গো স্টার তখন স্পেনের আলমেরিয়াতে ‘ব্লাইন্ডম্যান’ সিনেমার চিত্রগ্রহণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, প্রতিশ্রæতি রক্ষা করতে সে কাজ স্থগিত রেখে চলে এলেন। নিউইয়র্ক সিটির পার্ক লেইন হোটেল হ্যারিসনের দল ঠাঁই নেয়। ২৬ জুলাই শিল্পীরা ওয়েস্ট ফিফটি সেভেন্থ স্ট্রিটের নোলা স্টুডিওতে রিহার্সেল করেন। চূড়ান্ত রিহার্সেল ৩১ জুলাই ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে। বব ডিলান এসে হাজির হলেন রিহার্সেলে। স্মর্তব্য বাংলাদেশ কনসার্টের ৩৫ বছর পর ২০১৬ সালে বব ডিলান সাহিত্যের নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। এরিক ক্ল্যাপটন শুরু থেকেই বাংলাদেশ কনসার্টে থাকার আগ্রহ ব্যক্ত করে আসছিলেন, কিন্তু তখন হিরোইন আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তাকে হাসপাতালে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকতে হয়েছে বলে তার উপস্থিতি নিয়ে কিছুটা সন্দিহান ছিলেন আয়োজকরা। কিন্তু আশঙ্কা উড়িয়ে এরিক রিহার্সেলে এলেন এবং অনুষ্ঠানের দিনও তার অবদান ছিল অত্যন্ত সন্তোষজনক। হ্যারিসন নিজেও সন্দিহান ছিলেন বলে প্রয়োজনে জেসি এড ডেভিসকে দিয়ে তার শূন্যস্থান পূরণ করাতে প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থাও করেছেন। প্রশিক্ষক যথারীতি ভুরম্যান; হ্যারিসন, বিলি প্রেস্টন ও রিঙ্গো স্টারের গানের সঙ্গে তার পরিচিতি নিবিড়। প্রথম শো অপরাহ্ণ আড়াইটায় দ্বিতীয়টি রাত আটটায়। সংস্কৃতি অঙ্গন মেনে নিল মানবিক সহায়তার জন্য এটিই পৃথিবীর প্রথম বৃহত্তম কনসার্ট। এই অনুষ্ঠান আগামীর দুস্থ পৃথিবীকে রক্ষা করতে শিল্পীর ভূমিকা কী হতে পারে নীরবে সেই ঘোষণাও দিল। ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় ধুন দিয়ে শ্রেষ্ঠ সেতারবাদক রবিশঙ্কর সূচনা করলেন, তার সঙ্গে তবলে সঙ্গত করলেন আল্লার রাখা, সরোদ বাজালেন আলী আকবর খান আর তানপুরা ধরলেন কমলা চক্রবর্তী (শুরুতে কমলা ছিলেন সরস্বতী কমলা শাস্ত্রী, চিত্র পরিচালক অমিয় চক্রবর্তীর সঙ্গে বিয়ের পর কমলা চক্রবর্তী, স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি হয়ে উঠলেন রবিশঙ্করের সার্বক্ষণিক পার্টনার- কমলা শঙ্কর)। মঞ্চে এলেন জর্জ হ্যারিসন এবং তার ব্যান্ড রিঙ্গো স্টার, এরিক ক্ল্যাপটন, লিয়ন রাসেল, বিলি প্রেস্টন, জিম কেল্টনার এবং আরো ১৮ জন। ১৯৭০-এর ‘অল থিঙ্গস মাস্ট পাস’ অ্যালবামের রক ও কান্ট্রি মিউজিক ‘ওয়াহ ওয়াহ’ দিয়ে শুরুতেই শ্রোতা দর্শকদের মাতিয়ে ফেললেন জর্জ হ্যারিসন, গানের বাণীতে আরো রয়েছে; তুমি আমাকে বড় নক্ষত্র করে তুলেছো কিন্তু তুমি আমার কান্না দেখ না, তুমি আমার দীর্ঘশ্বাস শোনো না। তার গান ‘বাংলা দেশ’ দিয়ে শেষ হলো কনসার্ট। বব ডিলান গাইলেন তার সেরা পাঁচটি গান। হ্যারিসন এরিক ক্ল্যাপটনকে নিয়ে গাইলেন আমার ‘গিটার যখন কাঁদে’। বব ডিলান গাইলেন পাঁচটি গান। তার মধ্যে রয়েছে প্রতিবাদের অ্যানথেম : ব্লোইন ইন দ্য উইন্ড কতগুলো রাস্তা অবশ্যই পেরিয়ে এলে একজন মানুষ তুমি তাকে মানুষ বলবে? কতগুলো সমুদ্র অবশ্যই একটি সাদা ঘুঘুকে পাড়ি দিতে হয় সৈকতে ঘুমে ঢলে পড়ার আগে? কতবার কামানের গোলা অবশ্যই ছুড়তে হয় চিরতরে তা নিষিদ্ধ হওয়ার আগে? বন্ধু আমার জবাব তোমার বাতাসে ভাসছে জবাব বাতাসে ভাসছে। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ শিল্পীদের এমন প্রাণমাতানো গানের অনুষ্ঠান সেদিনের উপস্থিতিকে উন্মাতাল করে তুলেছিল। রাতের কনসার্ট আরো জমজমাট হলো- গণমাধ্যমে শিল্পীদের বিশ্বজোড়া ভক্তরা জেনে গেলেন বাংলাদেশ নামে একটি দেশের জন্য এই কনসার্টেও আয়োজন করা হয়েছে। একাত্তরের শুরুতে জোয়ান বায়েজের লেখা ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ গানটি হয়ে উঠে পশ্চিমের বাংলাদেশবান্ধব সবার জন্য একটি জাতীয় সংগীত। শুরুতে ২৫ হাজার ডলারের যে প্রত্যাশা রবিশঙ্কর করেছিলেন, জর্জ হ্যারিসন এক ফুৎকারে তা উড়িয়ে দেন। ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে বাংলাদেশ কনসার্ট ২৪৩,৪১৮.৫০ ডলার ১২ আগস্ট ১৯৭১ ইউনিসেফের হাতে তুলে দিয়েছে। আর কনসার্ট ফর বাংলাদেশে লাইভ অ্যালবামের প্রাথমিক সম্মানী ৩,৭৫০.০০ ডলারও হস্তান্তরিত হয়েছে। রবিশঙ্কর ও জর্জ হ্যারিসনের উদ্যোগে বাংলাদেশের বিপন্ন মানুষ প্রায় ১২ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে। অবশ্য টাকার পরিমাণটা মুখ্য নয়- মুখ্য হয়ে উঠেছে বাংলা নামের দেশ বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম। পৃথিবী জেনেছে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটতে যাচ্ছে। ড. এম এ মোমেন : সাবেক সরকারি চাকুরে, নন-ফিকশন ও কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App