বিরাট কোহলি তার ক্যারিয়ারে কত কিছুই না অর্জন করেছেন! তবে তার নানা প্রাপ্তির মধ্যে রয়েছে কিছু অপূর্ণতা। শুধু আইপিএলটাই রয়ে গেছে তার স্পর্শের বাইরে। ক্যারিয়ারে কেবল খেলেছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে। কিন্তু তার দলের আইপিএল স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি। এবার সেই স্বপ্ন গ্রুপ পর্বেই ভেঙে যেতে বসছিল। তবে কোহলিরা সেই শঙ্কা বিদায় করে এসেছেন প্লে অফে।

চলতি আসরে এলিমিনেটরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের প্রতিপক্ষ ছিল লখনৌ সুপার জায়ান্ট। তবে সে বাধা বেঙ্গালুরু পেরিয়ে গেছে দারুণভাবে। রজত পতিদারের দারুণ এক সেঞ্চুরিতে ভর করে লখনৌকে হারিয়েছে ১৪ রানে। তাতেই আইপিএল স্বপ্ন সত্যি করার দুই ধাপ কাছে চলে এসেছেন কোহলিরা।

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নামা লখনৌ শুরুটা দারুণ করেছিল, শুরুর ওভারেই বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিকে বিদায় করেছিলেন মহসিন খান। তবে এরপরই পতিদারের তোপের মুখে পড়ে লখনৌ। কোহলির সঙ্গে ৬৬ রানের জুটি গড়েন শুরুতে, এরপর দীনেশ কার্তিকের সঙ্গে ৪১ বলে ৯২ রানের আরেক শক্ত জুটিতে পতিদার গড়ে দেন ম্যাচের ভাগ্যটাই। সাত ছক্কা আর ১০ টি চারে ৫৪ বলে ১১২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন তিনি। ছয়ে নেমে কার্তিক খেলেন ২৩ বলে ৩৭ রানের ইনিংস। তাতে বেঙ্গালুরু পায় ২০৭ রানের এক পুঁজি।

জবাবে লখনৌ চেষ্টা করেছে বেশ। অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ধীরলয়ে শুরু করলেও শেষমেশ খেলে ফেলেন ৭৯ রানের ইনিংস, আর দীপক হুদা করেন ৪৫। তৃতীয় উইকেট জুটিতে এই দুই জনের ৬১ বলে ৯৩ রানের জুটি বেশ আশা দেখাচ্ছিল নবাগত দলটিকে। হুদার বিদায়ের পর কার্তিক একাই টেনেছেন লখনৌর ইনিংস। তবে দলকে তীরে ভেড়াতে পারেননি তিনি। দলীয় ১৮০ রানে তার বিদায়ের পরই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় লখনৌর হার। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৪ রান, তবে দলটি কেবল ৯ রানই তুলতে পারে। তাতেই ১৪ রানের হার সঙ্গী হয় দলটির। আর বেঙ্গালুরু কাটে কোয়ালিফায়ারের টিকিট।