×

অর্থনীতি

জনজীবনে স্বস্তি ফেরাতে কমছে ভ্যাট হার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২২, ০৮:২৭ এএম

জনজীবনে স্বস্তি ফেরাতে কমছে ভ্যাট হার

ফাইল ফটো

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতার বিরূপ প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ধরনের পণ্যমূল্য অনেক বেড়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে ভ্যাট আদায়ে কিছুটা ছাড় দিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ভ্যাট সাধারণত ভোক্তা দিয়ে থাকেন, তাই ভ্যাটে ছাড় দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বৈশ্বিক পণ্যমূল্য বাড়ার কারণে সাধারণ ভোক্তার ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। ভোক্তার ব্যয়ে স্বস্তি আনতে খাদ্যদ্রব্যের ক্ষেত্রে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে ভ্যাটের হার পরিবর্তন করা হচ্ছে। তারকা মানের হোটেল ছাড়া বর্তমানে খাবারের ক্ষেত্রে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণ করা রয়েছে। অর্থাৎ কোনো ভোক্তা রেস্টুরেন্টে খাবার খেলে তাকে বিলের সঙ্গে ভ্যাট হিসেবে আরো সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে। আগামী বাজেটে তারকা মানের হোটেল ছাড়া রেস্টুরেন্টে ভ্যাটের হার কমানো হচ্ছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে ভ্যাটের এই হার ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হচ্ছে। অর্থাৎ কোনো ভোক্তা রেস্টুরেন্টে খাবার খেলে বিলের সঙ্গে আরো ৫ শতাংশ ভ্যাট দিলেই হবে। এ ক্ষেত্রে খাবারের ক্ষেত্রে আড়াই শতাংশ ভ্যাট কমানোর প্রস্তাব করেছে এনবিআর।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভোরের কাগজকে বলেন, আগামী অর্থবছরের বাজেটে ভ্যাট আদায়ে কিছুটা ছাড় দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় দেশে অনেক পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে ভ্যাট কমানোর প্রস্তাব করেছে এনবিআর। যাতে ভ্যাটের কারণে ভোক্তার ব্যয় আর না বাড়ে।

সূত্র আরো জানায়, আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে ভ্যাট রিটার্ন জমা দেয়ায় কিছুুটা শিথিলতা আনার প্রস্তাব দিয়েছে এনবিআর। নিয়ম অনুযায়ী প্রতি মাসের ১৫ তারিখে ভ্যাট রিটার্ন জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কোনো গ্রাহক ১৫ তারিখের মধ্যে ভ্যাট রিটার্ন জমা না দিলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে ভ্যাট রিটার্ন জমা দেয়ার বিধান রয়েছে। আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে এই জরিমানার পরিমাণ অর্ধেক করা হচ্ছে। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের পর ভ্যাট রিটার্ন জমা দিলে এখন থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ২৮ হাজার কোটি টাকা। আর অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে এনবিআরের ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ১২০ কোটি টাকা, আদায় হয়েছে ৮৪ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা। অর্থবছরের ১০ মাসে ভ্যাট আদায়ে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ২২৪ কোটি টাকা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App