×

জাতীয়

ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষে দুইজন আটক, সাংবাদিক পেটাল ছাত্রলীগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২২, ০৪:৪৮ পিএম

ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষে দুইজন আটক, সাংবাদিক পেটাল ছাত্রলীগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কার্জন হল এলাকায় ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষ। ফাইল ছবি

ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষে দুইজন আটক, সাংবাদিক পেটাল ছাত্রলীগ

হাইকোর্টের সামনে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ কর্মীদের সংঘর্ষ। ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কার্জন হল এলাকায় ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষে সন্দেহভাজন চিহ্নিত করে দুইজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে হাইকোর্ট মোড় থেকে ক্যাম্পাসের দিকে আসার পথে কার্জন হলে ছাত্রলীগের সঙ্গে ছাত্রদলের সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনাস্থল থেকে তাদের দুইজনকে আটক করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। আটকের বিষয়টি ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার নিশ্চিত করেন। তবে ওই দুইজনের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাননি তিনি।

ওসি মওদুত হাওলাদার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন দুইজনকে আমরা হেফাজতে নিয়েছি। তাদের থানায় নিয়ে এসেছি। আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এখনো তাদেরকে আটক বলা যাবে না। তাদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। কেন তারা ঘটনাস্থলে এসেছেন, তা জানার চেষ্টা করছি।

[caption id="attachment_351190" align="aligncenter" width="700"] হাইকোর্টের সামনে ‘ছাত্রদল’ তকমা দিয়ে সাংবাদিক আবির আহমেদকে বেধড়ক পেটায় ছাত্রলীগ কর্মীরা[/caption]

সাংবাদিক পেটাল ছাত্রলীগ

এদিকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় অনলাইন পোর্টাল ডেইলি ক্যাম্পাসের সাংবাদিক আবির আহমেদকে ‘ছাত্রদল’ তকমা দিয়ে পিটিয়েছে ছাত্রলীগ। পরে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে আরও পেটায় তারা। এ সময় তার মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়া হয়।

আবির আহমেদ বলেন, ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাটি আমি লাইভ করছিলাম। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমার ওপর হঠাৎ হামলা করেন। তারা আমার মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে যান।

এদিকে ছাত্রদলের পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে হাইকোর্ট মোড় থেকে ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় কার্জন হল এলাকায় ছাত্রলীগের তোপের মুখে পড়ে। এসময় দুদলের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এ সময় গুলির শব্দ শোনা যায়। এ ঘটনায় অন্তত ২৫ জনের মতো আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের রেশ দ্রুত ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পরে। এ সময় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের মোটর সাইকেল মহড়া, ছাত্রলীগের বিভিন্ন হল শাখার মিছিল ও দেশীয় অস্ত্র হাতে উত্তপ্ত শ্লোগানে ক্যাম্পাসে ঘুরতে দেখা যায়।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী ভোরের কাগজকে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনার সূত্রপাত ঘটলেও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরে তা থামিয়ে দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, যদি কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় তবে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App