×

অর্থনীতি

কর বাড়িয়ে তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার আহ্বান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২২, ০৭:২৯ পিএম

কর বাড়িয়ে তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার আহ্বান

জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ডা. অরূপ রতন চৌধুরীসহ অন্য বিশ্লেষক ও সাংসদরা। ছবি: ভোরের কাগজ

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার জন্য কর বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাক দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি একটি আন্তর্জাতিকভাবে অনুসৃত পদ্ধতি। এমতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখার জন্য আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের কর ও মূল্য বৃদ্ধি করা জরুরি। আর এই তামাক কর এমনভাবে বাড়ানো উচিত যাতে তামাক গ্রহণকারী ব্যবহার কমিয়ে দিতে বাধ্য হন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিমতই ব্যক্ত করেছেন সাংসদ ও বিশ্লেষকরা।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি। আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মানসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, সিটিএফকে- বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সিটিএফকে- বাংলাদেশের গ্র্যান্টস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া এবং ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন তামাকবিরোধী সংগঠনসমূহের প্রতিনিধি এবং প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

আবদুস সালাম মিয়া বলেন, করারোপের অভাবে বাংলাদেশে তামাকদ্রব্য অত্যন্ত সস্তা ও সহজলভ্য হয়ে উঠছে। এজন্য তামাকদ্রব্যে কর বৃদ্ধি করতে হবে।

অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে তামাক কর বৃদ্ধির বিকল্প নেই।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সংবাদ সম্মেলনে যে প্রস্তাবনাটি করা হয়েছে সেটি যদি সরকার গ্রহণ করে তবে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমবে ও নতুন ব্যবহারকারীরা নিরুৎসাহিত হবে।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন, বর্তমান তামাক কর কাঠামো অত্যন্ত জটিল যা তামাকের ব্যবহার নিরুৎসাহিতকরণের পথে একটি বড় বাধা। আর এজন্য এই কর কাঠামোকে সহজ করতে হবে। এটা করে যথাযথ পদ্ধতিতে তামাক-কর বৃদ্ধি করলে তামাকের ব্যবহার কমাতে তা কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

সাংসদ ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, অন্যান্য করের সঙ্গে তামাক করের পার্থক্য রয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে এটি বুঝতে হবে। কারণ তামাকের কারণে যে পরিমাণ কর আহরণ হয়, জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় এর বহুগুণ।

সাংসদ অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত বলেন, জনস্বাস্থ্যের জন্য তামাক খুবই ক্ষতিকর একটি দ্রব্য। এর আর্থিক ক্ষতির কম নয়। ফলে তামাক ব্যবহার কমানোর জন্য সব ক্ষেত্রেই উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষত ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ীতামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার জন্য তামাক কর বৃদ্ধি করাটাও খুবই জরুরি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App