নতুন নির্বাচন ঘোষণার জন্য নেওয়াজ সরকারকে ছয় দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দাবি পূরণ না হলে তিনি রাজধানীতে ফিরে আসবেন বলেও জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ( ২৬ মে) সকালে ইসলামাবাদের নবম এভিনিউতে আন্দোলনকারীদের সামনে এই ঘোষণা দেন তিনি।
ইমরান বলেন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যতক্ষণ না সরকার পার্লামেন্ট বাতিল করে নির্বাচন ঘোষণা না করে আমি এখানেই বসে থাকব। গত ২৪ ঘণ্টায় আমি দেখেছি, এই সরকার পুরো জাতিকে অরাজকতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি দাবি করেন, পাকিস্তান সরকার দেশের মানুষ এবং পুলিশের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, আজাদি মার্চ শুরুর পর অন্তত ৫ পিটিআই কর্মী নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন টিয়ার গ্যাস থেকে বাঁচতে আটোক ব্রিজ থেকে লাফিয়ে পড়ে মারা যান। আরেকজনকে রাভি নদীতে ঠেলে ফেলা হয়। এছাড়া করাচিতে আরও তিন জনকে ‘হত্যা’ করা হয়েছে।
আজাদি মার্চের অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে ইমরান খান বলেন, খাইবার পাখতুনখোয়া থেকে ইসলামাবাদে পৌঁছাতে তার ৩০ ঘণ্টা সময় লেগেছে। আমাদের এই আজাদি মার্চে ব্যাঘাত ঘটাতে সরকার সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে তারা টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে। আমাদের বাড়ি-ঘরে অভিযান চালিয়ে তছনছ করেছে।
ইমরান খান সুপ্রিম কোর্টের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, আমরা কি এমন অপরাধ করেছিলাম? আমরা পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক এবং আইনজীবী সম্প্রদায়ের কাছে ন্যায় বিচার চাই। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকার সবার আছে। আমাদের সঙ্গে সরকার যে আচরণ করছে, তাদেরকে সেই অধিকার কেউ দেয়নি।
পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, ইসলামাবাদের পুলিশের মহাপরিদর্শক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং বিক্ষোভকারীদের রেড জোন ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইসলামাবাদের ওই অংশেই রয়েছে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন, কেন্দ্রীয় সচিবালয় এবং বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের দূতাবাস।
সংঘাত এড়াতে শাহবাজ সরকার ইমরানের কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। কিন্তু বুধবার সুপ্রিম কোর্ট রাজধানীর এক প্রান্তে পেশোয়ার মোড়ে সমাবেশের অনুমতি দেয় পিটিআইকে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।