×

সারাদেশ

এক যুগেও স্মার্ট কার্ড পায়নি ছাতক উপজেলাবাসী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২২, ১১:২৩ এএম

এক যুগেও স্মার্ট কার্ড পায়নি ছাতক উপজেলাবাসী

ফাইল ছবি

সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকে এক যুগেও জাতীয় স্মার্ট কার্ড হাতে পাননি ভোটারা। তবে জেলার তিনটি উপজেলার ভোটারা জাতীয় স্মার্ট কার্ড হাতে পেয়েছে। যদিও সারাদেশে ৯ কোটি ভোটারকে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার জন্য ২০১১ সালে পাঁচ বছরের একটি প্রকল্প নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পাঁচ বছরের জায়গায় ১১ বছর চলে গেছে। এখন পর্যন্ত স্মার্ট কার্ড চোখে দেখেননি ভোটারা।

ছাতক উপজেলা স্মার্ট কার্ড হাতে না পাওয়ার মধ্যে রয়েছে। তাতে দু:খ প্রকাশ করেছেন ছাতকের পৌরসভাসহ ১৩টি ইউনিয়নের ভোটাররা। যদিও সুনামগঞ্জ সদর, শান্তিগঞ্জ ও জামালগঞ্জ এই তিন উপজেলার ভোটার স্মার্ট কার্ড হাতে পেয়েছেন ভোটারা।

জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির জন্য ২০১১ সালে আইডেনটিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহান্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিসেস প্রকল্প (আইডিইএ) হাতে নিয়েছিল ইসি। এই প্রকল্পে অর্থায়ন করেছিল বিশ্বব্যাংক। প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ছিল একটি নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্য স্মার্ট এনআইডি সিস্টেম গড়ে তোলা।

২০১৬ সালের জুনের মধ্যে ৯ কোটি ভোটারকে স্মার্ট কার্ড দেওয়ার কথা ছিল। প্রকল্পের সময় ছয় দফা বাড়িয়েও এই কাজ শেষ হয়নি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যয়ও বেড়েছে। এর মধ্যে ভোটারের সংখ্যাও বেড়ে প্রায় ১১ কোটির ওপর ছাড়িয়েছে।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. মুরাদ উদ্দীন বলেন, জেলার সুনামগঞ্জ সদর, জামালগঞ্জ ও শান্তিগঞ্জ এই তিন উপজেলা ছাড়া এখন পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচন কমিশন বাকি স্মার্ট কার্ডগুলো দেয় নি। দিলেই আমরা যথা সময়ে ভোটারের হাতে পৌছে দিবো।

তিনি আরো বলেন, স্মার্ট কার্ড তৈরিকারী ফান্সের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করতে না পারায় চুক্তি বাতিল হয় এবং বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর নিজস্ব তত্বাধানে জাতীয় স্মার্ট কার্ড তৈরি করার কাজ চলমান আছে।

জানা যায়, ছাতক উপজেলার ৩ লাখ ৩ হাজার ৮শ ৫৯ জন ভোটারা জাতীয় স্মার্ট কার্ড না পেলেও প্রায় সব ভোটারই কাগজে ছাপানো লেমিনেটেড কার্ড পেয়েছেন। ২০১৯ সাল থেকে যারা সংশোধনী, নতুন ভোটার কিংবা ভোট স্থানাস্থরিত করেছেন তাদের স্মার্ট কার্ডের নাম্বার পড়েছে।

সংসদ সদস্য সুনামগঞ্জ-৫ মুহিবুর রহমান মানিক বলেন, পর্যায়ক্রমে সব উপজেলাতেই জাতীয় স্মার্ট কার্ড আসবে অপেক্ষা করতে হবে।

ইসি সূত্র থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির সময় অতিরিক্ত (বাই প্রোডাক্ট) হিসেবে কাগজে ছাপানো একটি পরিচয়পত্র দেওয়া শুরু হয়। কিন্তু এই পরিচয়পত্র যন্ত্রে পাঠযোগ্য নয়। স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্লাস্টিক কার্ডে তৈরি, যা যন্ত্রে পাঠযোগ্য। এর সঙ্গে একটি চিপ আছে। এখানে ব্যক্তির বর্তমান জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা তথ্যের পাশাপাশি ১০ আঙুলের ছাপ ও আইরিশের প্রতিচ্ছবি থাকে।

স্মার্ট কার্ড দেওয়ার জন্য ফ্রান্সের ওবারথার টেকনোলজিসের (বর্তমানে আইডিইএমআইএ) সঙ্গে চুক্তি করেছিল ইসি। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর তত্তাবধানে রয়েছে।

ছাতক উপজেলার প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. হাফিজুর রহমান জানান, সুনামগঞ্জ জেলার তিন উপজেলায় স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। আমরা এখনও পাইনি পেলে দ্রুত বিতরণ করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App