×

খেলা

মিরপুরে উইকেটের খোঁজে দিন পার করল টাইগাররা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২২, ০৫:৪৫ পিএম

মিরপুরে উইকেটের খোঁজে দিন পার করল টাইগাররা

ঢাকা টেস্টে দ্বিতীয় দিন শেষে ড্রেসিং রুমে ফিরছে টাইগাররা

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে মঙ্গলবার (২৪মে) নিজদের প্রথম ইনিংসে সব উইকেট খ্ইুয়ে ১১৬.২ বলে ৩৬৫ রান তুলেছে বাংলাদেশ। জবাবে নিজদের প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত লড়াই করেছে লঙ্কানরা। দ্বিতীয় দিন শেষে ২ উইকেট খুইয়ে ১৪৩ রান তুলেছে সফরকারীরা।

এছাড়া ঢাকা টেস্টে বিব্রতকর ৬ ডাকের ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। নিজদের প্রথম ইনিংসে রানের খাতা খুলতে পারেননি ৬ টাইগার ব্যাটসম্যান। যা টেস্টে এক ইনিংসে এটি ষষ্ঠ ছয় ডাকের ঘটনা। আর বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয়। ঢাকা টেস্টে ডাকের শুরুটা করেন জয়। মাঝে আরো চার ব্যাটসম্যানের ডাক। আর ইবাদত শেষ করেন। তবে এই ইনিংসের মধ্য দিয়ে অনন্য এক রেকর্ডও গড়েছে বাংলাদেশ। ছয় ডাকের ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড গড়েছে মুমিনুলের দল। এর আগে ছয় ডাকের ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান ছিল ১৫২। মুশফিকের ১৭৫ ও লিটনের ১৪১ রানের সুবাদে বাংলাদেশের রান ৩৬৫।

২০০২ সালে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮৭ রানে অলআউট হয়েছিল। ওই ইনিংসেও ছিল ৬টি ডাক। এছাড়া পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের রয়েছে এমন বিব্রতকর ডাকের রেকর্ড।

এদিকে মঙ্গলবার (২৪মে) টাইগারদের দেয়া ৩৬৫ রানের জবাবে শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার দিমুথ করুণারত্নে ও ওশাদা ফার্নান্দো বেশ সতর্ক ব্যাটিং করেন। বিনা উইকেটে ৮৪ রান তুলে চা-বিরতিতে যায় লঙ্কানরা। বিরতির পর চতুর্থ ওভারে টাইগার পেসার ইবাদত হোসেন ভাঙেন উদ্বোধনী জুটি। তার বলে ফার্নান্দো ৫৭ রান তুলে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ হন। ৯৫ রানে ভাঙে দিমুথ করুণারত্নের সঙ্গে তার জুটি। চা বিরতির আগে ফার্নান্দোকে আউট করার সুযোগ পেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু তিনি নিজের বলে ফিরতি ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি। অবশ্য নাগালে পাবার জন্য হাত বাড়িয়েছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। যাইহোক ইবাদতের বলে শেষ রক্ষা হলো না ফার্নান্দোর। তাছাড়া প্রথম স্পেলে সাকিবের বোলিংয়ে তেমন ধার ছিল না। তিনি ৭ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৯ রান দেন। তবে বিকেলে দ্বিতীয় স্পেল করতে এসেই সাফল্য পায় বিশ^সেরা অলরাউন্ডার। নিজের অষ্টম ওভারের প্রথম বলেই কুশল মেন্ডিসকে আউট করেন। ৪৯ বলে ১১ রান করেন মেন্ডিস।

এছাড়া দ্বিতীয় দিন সতীর্থরা যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেনি মুশফিককে। ফলে টেস্ট ক্যারিয়ারে চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরি স্বাদ নিতে পারলেন না মিস্টার ডিপেন্ডেবল। ইবাদত আউট হবার পর আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিক।

এদিকে মুশফিক-লিটনের ব্যাটিং নৈপুন্য দেখে মুগ্ধ হয়েছে ক্রিকেট বিশ্ব। প্রথম দিন ২৪ রানে টপ অর্ডারের পাঁচ ব্যাটাসম্যানকে হারানোর পর তাদের প্রতিরোধ ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়াচ্ছে। দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (২৪মে) ব্যাট হাতে শুরুটা ভালই করেন মুশফিক-লিটন দাস। ৭ ওভার সাবলীল ব্যাটিং করেন তারা। কিন্তু অষ্টম ওভারে ঘটে ছন্দ পতন। আর শ্রীলঙ্কা শিকার করে টাইগারদের জোড়া উইকেট। লিটন-মোসাদ্দেক আউট হলে একাই লড়াই চালিয়ে যান মিস্টার ডিপেন্ডেবল। এক কথায় বলা যায়, ঢাকা টেস্টে লঙ্কান বোলারদের পরীক্ষা নেন মুশফিক। তিনি দেখে শুনে ঠান্ডা মাথায় খেলে রানের চাকা সচল রাখেন। এমনকি মুশফিক দুর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুন্য প্রদশন করে ২১টি চার হাকিয়ে ব্যক্তিগত ১৭৫ রান তুলে অপরাজিত ছিলেন।

এছাড়া এর আগে ২০১৩ সালে সাদা পোশাকে প্রথম ডাবল সঞ্চেুরির কৃতত্বিও গড়েছেন মুশফিক। সেসময় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে ২০০ রান করছেলিনে। এরপর ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুর ২১৯ রানে অপরাজতি ছিলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। যা টেস্টে এখনও দেশের ব্যক্তিগত সবোর্চ্চ রান। এরপর ২০২০ সালে মিরপুরে ২০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে মুশফিকই এক মাত্র তিনটি ডাবল সেঞ্চুরির মালিক।

এর আগে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিন মুশফিক-লিটন ৭ ওভার সাবলীল ব্যাটিং করেন। কিন্তু অষ্টম ওভারে লঙ্কান পেসার রাজিথার অফস্টাম্পের বাইরের বলে খোচা দিয়ে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফিরেন লিটন। তিনি ১৪১ রানে থামেন। লিটন ২৪৬ বলে ১৬ চার ও ১ ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটি সাজান। দুই বল পর ফের উইকেটের দেখা পায় শ্রীলঙ্কা। আড়াই বছর পর দলে ফেরা মোসাদ্দেক একই রকম ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। রাজিথার বলে ডিকবেলার হাতে রানের খাতা খোলার আগেই ধরা পড়েন। তাছাড়া টাইগারদের জোড়া উইকেট শিকার করে টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম ফাইফারের স্বাদ পেলেন লঙ্কান পেসার রাজিথা। প্রথম দিন ডানহাতি এই পেসার ৩ উইকেট শিকার করেন।

এর আগে সোমবার(২৩ মে) ধ্বংসস্তূপ থেকে ব্যাট হাতে মহাকাব্য রচনা করেছেন মুশফিক-লিটন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App