বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হবে আগামী ২৫ জুন। ওই দিন সকাল ১০টায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে আজ মঙ্গলবার (২৪ মে) পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ও নামকরণের সারসংক্ষেপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্যে গণভবনে যান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য ২৫ জুন উদ্বোধন করবেন বলে সম্মতি দেন বলে জানান মন্ত্রী।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় পদ্মা সেতুর জন্য টোলের হারের বিষয়ে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুমোদনের জন্য গত ২৮ এপ্রিল পাঠায়। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অনুমোদনের পর আজ মঙ্গলবার তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সেতু বিভাগ থেকে যে টোলের হার প্রস্তাব করা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর তা হুবহু অনুমোদন দিয়েছে। এখন ফেরিতে পদ্মা পারে যে টাকা দিতে হয়, সেতু পার হতে এর চেয়ে গড়ে দেড় গুণ বেশি টাকা দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু সেতুর টোলের সঙ্গে তুলনা করলে তা হবে প্রায় দ্বিগুণ।

পদ্মা সেতুর (মূল সেতু) দৈর্ঘ্য ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার। দুই প্রান্তের উড়ালপথ (ভায়াডাক্ট) তিন দশমিক ৬৮ কিলোমিটার। সব মিলিয়ে সেতুর দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।

পদ্মা সেতু দিয়ে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যাতায়াত সহজ হবে, সময়ও কমবে। চলাচল সহজ করার পাশাপাশি অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে পদ্মা সেতু। সমীক্ষা অনুযায়ী, পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এক দশমিক ২৩ শতাংশ হারে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধি পাবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিডিপি বাড়বে দুই দশমিক তিন শতাংশ।