×

আন্তর্জাতিক

৫ কি.মি. দূর থেকে ড্রোন ধ্বংসের লেজার অস্ত্র পরীক্ষা রাশিয়ার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ মে ২০২২, ১২:১৭ পিএম

৫ কি.মি. দূর থেকে ড্রোন ধ্বংসের লেজার অস্ত্র পরীক্ষা রাশিয়ার

রাশিয়ায় প্রস্তুতকৃত লেজার অস্ত্র- ‘দ্য পেরেসভেট সিস্টেম’

৫ কি.মি. দূর থেকে ড্রোন ধ্বংসের লেজার অস্ত্র পরীক্ষা রাশিয়ার

আগ্নেয়াস্ত্র বিস্ফোরণ

৫ কি.মি. দূর থেকে ড্রোন ধ্বংসের লেজার অস্ত্র পরীক্ষা রাশিয়ার

রুশ ট্যাংক

৫ কি.মি. দূর থেকে ড্রোন ধ্বংসের লেজার অস্ত্র পরীক্ষা রাশিয়ার

ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলায় বিধ্বস্ত একটি শহর

প্রায় তিন মাস ধরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধে দুই পক্ষেরই হতাহতের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকার দখল নিতে রাশিয়া প্রচুর উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র ব্যবহার ইতোমধ্যেই করে ফেলেছে। আর কিছু অস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষা তারা এখনও চালিয়ে যাচ্ছে। এবার নতুন এক ধরনের অস্ত্রের পরীক্ষা করেছে দেশটি। রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী ইউরি বরিশফ জানিয়েছেন, তারা এক নতুন লেজার অস্ত্রের পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

[caption id="attachment_350201" align="aligncenter" width="700"] রুশ ট্যাংক[/caption]

অস্ত্রটির নাম ‘দ্য পেরেসভেট সিস্টেম’। রুশ বাহিনীকে ইতোমধ্যেই এই অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

[caption id="attachment_350200" align="aligncenter" width="700"] আগ্নেয়াস্ত্র বিস্ফোরণ[/caption]

রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আরও জানান, এই অস্ত্র খুব সহজেই প্রায় তিন কিলোমিটার দূরের ড্রোনকে ধ্বংস করতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, পৃথিবী থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার ওপরে থাকা কৃত্রিম উপগ্রহকে অচল করতেও সক্ষম এই অস্ত্র।

[caption id="attachment_350202" align="aligncenter" width="700"] ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলায় বিধ্বস্ত একটি শহর[/caption]

২০১৮ সালে বেশ কয়েকটি নতুন অস্ত্রের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যার মধ্যে ছিল আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ছোট পারমাণবিক অস্ত্র, পারমাণবিক ড্রোন, সুপারসনিক অস্ত্র ও লেজার অস্ত্র।

ধারণা করা হচ্ছে, ‘দ্য পেরেসভেট সিস্টেম’ এর নাম করা হয়েছে রাশিয়ার মধ্যযুগীয় সন্ন্যাসী আলেকজাণ্ডার পেরেসভেটের নামে। যিনি যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াইরত অবস্থায় নিহত হন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বরিশফের এই ঘোষণার পর আমেরিকা এবং চীনের মতো পরমাণু শক্তিধর দেশগুলোও এই অস্ত্র তৈরিতে উদ্যোগী হয়ে উঠবে।

বরিশফের বক্তব্য থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে, রাশিয়ায় তৈরি এই অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি বিচ্ছিন্ন করতে ব্যবহৃত হতে পারে। যুদ্ধের শুরু থেকেই রাশিয়ার অন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ও ইউক্রেন সীমান্তে সেনাবাহিনীর অবস্থানের ওপর ক্রমাগত নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App