×

জাতীয়

কামরাঙ্গীরচরে যৌতুকের নির্যাতন সইতে না পেরে গৃহবধুর আত্মহত্যা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ মে ২০২২, ০১:১৭ পিএম

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে যৌতুকের জন্য নির্যাতন সইতে না পেরে আলিফা আক্তার (১৬) নামে এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ মধ্য ইসলাম নগর মজিবর ঘাট ৭ নম্বর রোডে একটি বাড়ি থেকে ওই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।

মৃত আলিফার বাবা মো. নান্নু মিয়া অভিযোগ করে জানান, ৫ মাস আগে পারিবারিকভাবে আব্দুর রহিম নামে এক যুবকের সাথে তার বিয়ে দেয়া হয়। রহিম ধানমন্ডি রাপা প্লাজায় একটি দোকানে চাকরি করে। স্ত্রীকে নিয়ে মজিবর ঘাটের ৭নম্বর গলির নিজেদের বাড়িতে থাকে। আলিফার বাবা মা থাকেন ব্যাটারীঘাট এলাকায়। বিয়ের সময় তার স্বামীর বাড়ির লোকজনের কোন যৌতুকের দাবি ছিল না। তবে বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্বামী এবং তার শাশুড়ি বিভিন্ন ইশারা-ইঙ্গিতে যৌতুকের জন্য কথা শোনাতে। আব্দুর রহিমের অন্য ভাইদের বিয়ের সময় কয়েক লাখ টাকা করে তাদের শ্বশুরবাড়ি থেকে দিয়েছে এরকম কথা শুনাতো। বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনও করা হতো তাকে। এসব কারণে দেড় মাস আগে রাগ করে আলিফা বাবার বাড়িতে চলে আসে।

তিনি জানান, গত মঙ্গলবার আব্দুর রহিম তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে আবার তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর গতকাল দুপুরে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আবার ঝগড়া হয়। তখন তার মা সুবর্ণা ওই বাসায় গিয়ে তাদের মিমাংশা করে আসেন। তবে বিকেল থেকে সে আর ফোন ধরছিলো না। রাত সাড়ে দশটার দিকে আলিফা এবং ছোট বোন ওই বাসায় গিয়ে দেখেন, আলিফার শোবার ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। তখন জানালা দিয়ে দেখতে পান ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে সে। পরে পুলিশে খবর দিলে তারা গিয়ে দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করে। স্বজনদের অভিযোগ, যৌতুকের কারণে তাকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করা হতো। এটি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যা করেছে।

এদিকে কামরাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফাহমিদা ইয়াসমিন সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটা থেকে রাত সাড়ে বারোটার মধ্যে যে কোন সময় দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। তাদের গ্রামের বাড়ি বরিশাল মুলাদি উপজেলার নন্দির বাজার গ্রামে। ৩বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলো আলিফা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App